সংক্ষিপ্ত

২০১৯ সালে গিয়াসউদ্দীনকে তৃণমূল নের্তৃত্ব বহিঃষ্কারই করে দেয়, তাহলে আবার ২০২০ সালে গিয়াসউদ্দীন দলের হয়ে দিব্যি প্রচারে গেল কীকরে। কী বলছেন  তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হেনস্থা কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে 'তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা' গিয়াসউদ্দীন। গ্রেফতারের পরে বিতর্ক মোড় নিয়েছে অন্য জায়গায়। গিয়াসউদ্দীনকে 'তৃণমূল'-র সঙ্গে কোনও যোগসূত্র রাখতেই রাজি নয় ঘাসফুল শিবির। সবার একটাই যুক্তি, গিয়াসউদ্দীনকে ২০১৯ সালে দল থেকে বহিঃষ্কার করা হয়েছে। আর এর পরেই বিরোধী প্রশ্ন জুড়ে দিয়েছেন, যদি ২০১৯ সালে গিয়াসউদ্দীনকে তৃণমূল নের্তৃত্ব বহিঃষ্কারই করে দেয়, তাহলে আবার ২০২০ সালে গিয়াসউদ্দীন দলের হয়ে দিব্যি প্রচারে গেল কীকরে। তবে কি কালিমালিপ্ত হওয়ার ভয়েই গিয়াসউদ্দীনকে দলের নামের সঙ্গে কোনওমতেই জড়াতে চাইছে না তৃণমূল, এনিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। যদিও যুক্তি ভিত খাড়া করার চেষ্টা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন,'আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে, আমরা সেটা কড়া নিন্দা করছি। কোনও অবস্থাতেই এই জিনিস বরদাস্ত করা যাবে না। খুবই স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে, কোনও কোনও মহল থেকে তাঁকে তৃণমূল ছাত্র নেতা করে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এই ছেলেটিকে অনেকআগেই অন্তত তিন বছর আগে নির্দিষ্ট কিছু কারণে, আপত্তিকর কাজকর্মের কারণে দল থেকে বহিঃষ্কার করা হয়েছে। মূলত তৃমমূলের ছাত্রপরিষদকে কালিমালিপ্ত করতে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেটা রেকর্ড করে এমনভাবে ছড়ানো হয়েছে, যাতে বিরোধীরা তৃণমূলকে সমালোচনা করে। ' অপরদিকে,  তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,' যাকে উপাচার্যের উপর আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে, তাকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অনৈতিক কাজকর্মের জন্য তাড়িয়ে দেওয়া হয়।এবং পরবর্তীতে আিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদ থেকেও তাড়িয়ে দেওয়া হয়। '

কিন্তু  ২০১৯ সালে গিয়াসউদ্দীনকে তৃণমূল নের্তৃত্ব বহিঃষ্কারই করে দেয়, তাহলে আবার ২০২০ সালে গিয়াসউদ্দীন দলের হয়ে দিব্যি প্রচারে গেল কীকরে। যদিও এই প্রশ্নের উত্তর এখনও তৃণমূলের তরফে মেলেনি। প্রসঙ্গত, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ চলাকালীন উপাচার্যকে গালিগালাজ, মারধোর এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় গ্রেফতার করা হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ছাত্র নেতা গিয়াসউদ্দীন মন্ডলকে। পরীক্ষার প্রশ্ন লিক হয়েছে, এই অভিযোগে শুক্রবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা আর সেই বিক্ষোভেই নেতৃত্ব দেয়  প্রাক্তন ছাত্র নেতা গিয়াসউদ্দীন মন্ডল। ইতিমধ্যেই উপাচার্যকে হেনস্থার ভিডিও  সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় অশ্রাব্য ভাষায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলিকে গালাগাল করছে সে। ঘটনার পর শনিবার গিয়াসউদ্দিনকে বহিষ্কার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পর রবিবার অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দীন মন্ডলকে গ্রেফতার করে টেকনোসিটি পুলিশ।