সংক্ষিপ্ত
পুরুলিয়ার সরকারি হোমে আবাসিক নাবালিকাদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ। পুরুলিয়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সরকারি হোমের সুপার।
পুরুলিয়ার সরকারি হোমে আবাসিক নাবালিকাদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ। পুরুলিয়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সরকারি হোমের সুপার। শনিবার জেলা আদালতের স্পেশাল কোর্টে আত্মসমর্পণ করে সে। রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনা উঠা আসছে। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বসিরহাট, হুগলি, শান্তিনিকেতন, বোলপুর, হাঁসখালি-সহ একাধিক জায়গায় নৃশংস অপরাধের ঘটনা ঘটেছে কোথাও আবার ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাও ঘটেছে।
পুরুলিয়ার টামনা থানা এলাকার সরকারি হোমে এই লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে। এই প্রায় ৪৯ জন নাবালিকা রয়েছে। বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়া নাবালিকাদের জেলা আদালতের বিচারকের কাছে তাঁদের করুণ কাহিনী কথা জানায়। তারা অভিযোগ করে হোমে থাকা তিনজন, নাবালিকাদের উপর শারীরিক মানুসিক নির্যাতন করে। এই তিনজনের মধ্য়ে সুপার সহ ওই হোমের দুই জন এবং অপর একজন অপরিচিত অভিযুক্তের কথা জানিয়েছে তাঁরা। এরপর শনিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সরকারি হোমের সুপার।
আরও পড়ুন, 'অর্জুন আত্মহত্যা করেছেন, প্রমাণ হলে ময়নাতদন্তকারীর চাকরি থাকবে ? ' প্রশ্ন ফিরহাদের
প্রসঙ্গত, পুরোপুরি একই না হলেও হাওড়া শালকিয়ার সরকারি হোমেরও নাম জড়িয়েছিল। রক্ষকই ভক্ষক এমন তথ্য এবার সামনে উঠে এসেছে।এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজন পুরুষ সহ ৯ জন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সালকিয়ার একটি সরকার অনুমোদিত হোমে। পুলিশ সূত্রে খবর, সালকিয়ার ওই হোমের বিরুদ্ধে শিশুদের শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ জমা পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই হোম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিশু দত্তক দেওয়া হয়। সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর গীতশ্রী সহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা। সিল করে দেওয়া হয়েছে হোমটি।
আরও পড়ুন, কে এই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়াণা, কীভাবে অভিষেকের সঙ্গে পরিচয়
আরও পড়ুন, এলপিজির দাম চড়তেই কলকাতায় যাত্রীভাড়া বাড়াল অটোয়ালাদের একাংশ, জানুন কোন কোন রুটে
সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই হোম নিয়ে নবান্নে এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ , ওই হোমে শিশুদের উপর যৌন নিগ্রহ করা হয়। আর এই অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপর গতকাল হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে মহিলা থানার পুলিশ ওই হোমে অভিযান চালায়। তখনই ওই হোমের মালিক সহ আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দেবকুমার ভট্টাচার্য নামে এক ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকও। সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক তিনি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর হোম থেকে শিশুদের নিরাপদে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মুহূর্তে নিরাপদ স্থানে রয়েছে তারা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহিলা থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় মিনতি অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।