সংক্ষিপ্ত
বিজেপি ক্রমাগত অভিযোগ করেছে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা দলের নির্দেশ অমান্য করে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেবেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির প্রকৃত বিধায়ক সংখ্যা কত তা জানতে চেয়েও বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা করেছে বিজেপিকে।
সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শুরু হয়েছিল। বিকেল পাঁচটায় ভোটদান শেষ হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগে উত্তাল ছিল রাজ্য বিধানসভায়। কারণ বিজেপি ক্রমাগত অভিযোগ করেছে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা দলের নির্দেশ অমান্য করে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেবেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির প্রকৃত বিধায়ক সংখ্যা কত তা জানতে চেয়েও বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা করেছে বিজেপিকে।
যাইহোক বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্য ২১৬। যার মধ্যে ২১৫ বিধায়ক ভোট দিয়েছেন। একজন বিধায়ক ভোট দিতে পারবেন না বলেও আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নির্মল ঘোষ বলেন, তাঁদের দলের এক বিধায়ক হজ যাত্রায় মক্কা গিয়েছেন। আর তিনি যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেবেন না তা আগেই স্পিকারকে জানিয়ে দিয়েছিলেন।
লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ১৯ জন ও দলের রাজ্যসভার ১৩ জন সদস্য রাজ্য বিধানসভায় তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। লোকসভার দুই সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ও সিএম জাটুয়া নতুন দিল্লিতে ভোট দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন নির্মল ঘোষ। তবে তৃণমূলের অপর দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী সম্পর্কে তিনি কিছুই বলেননি। বাবা ও ছেলে এদিন দিল্লিতেই ভোট দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর দল বদলের পর অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব ক্রমশই বেড়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের রাজ্যপাল হতে পারেন শিশির অধিকারী- এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। তাতে নিতে আরও ঘি ঢেলে জানিয়েছেন তিনি কর্মোঠ মানুষ - রাজ্যপাল হতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, দলের ৭০ জন বিধায়ক এনডিএ মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট গিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন বিধায়কও দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছেন। গনণার সময়ই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে শুভেন্দুর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেছেন, রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা এখনও পর্যন্ত বিজেপি বিধায়করা নিশ্চিত করে বলতে পারেন না। কখনও তাঁরা বলেন ৭০ জন বিধায়ক তাঁদের দলের, কখনও আবার বলেন তাদের বিধায়ক সংখ্যা ৭৫। দলটি যে নিজের বিধায়ক সংখ্যা জানে না তা একদম স্পষ্ট। পাশাপাশি বিজেপি নিজের দলের বিধায়কদের হোটেল বন্দি করে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি বলেন বিজেপি নিজেদের বিধায়কদেরও বিশ্বাস করে না। তাই হোটেল বন্দি করে রেখে দেয়।
৭৫ জন গেরুয়া শিবিরের বিধায়কের মধ্যে পাঁচজনও বিধায়ক হিসাবে পদত্যাগ না করেই টিএমসিতে যোগ দিয়েছেন। এমনই একজন বিজেপি বিধায়ক, মুকুল রায়, যিনি গত বছর টিএমসিতে চলে গিয়েছিলেন, বলেছিলেন "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী" রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হবেন। সিপিএম-এর একমাত্র সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই রাজ্যের বিধানসভা থেকেই ভোট দিয়েছেন।