সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনের বাজারে ক্লাস চলছে অনলাইনে
- স্মার্ট হয়তো চেখেই দেখেনি প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়ারা
- টেলিভিশনের মাধ্যমে পড়াশোনার ব্য়বস্থা করল একটি সংস্থা
- অভিনব উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরা
বুদ্ধদেব পাত্র, পুরুলিয়া: স্মার্ট ফোন কিংবা ইন্টারনেট পরিষেবা বিলাসিতারই নামান্তর। তাহলে পড়ুয়ারা অনলাইনে ক্লাব করবে কি করে! একদা মাও অধ্যূষিত পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে টেলিভিশনের মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা করল একটি সংস্থা।
আরও পড়ুন: ফের করোনা নিয়ে মৃত্যু হল পুলিশকর্মীর,বুনিয়াদপুরে কর্মরত ছিলেন ওই এএসআই
যতদিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততই ঘোরালো হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়ায়। দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনে বিপর্যস্ত জনজীবন। পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে স্কুল, কলেজ, এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়েও। পড়ুয়া ও শিক্ষকরা, যে যার বাড়িতে, ক্লাস চলছে অনলাইনে। কিন্তু এভাবে পড়াশোনা করা কি আর সকলের পক্ষে সম্ভব?
পুরুলিয়ার ঝালদা থানার প্রত্যন্ত গ্রাম বরুয়া কোচা। অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে এই গ্রামে একসময়ে মাওবাদী উপদ্রব ছিল যথেষ্টই। ভারী বুটের শব্দ ও বারুদের গন্ধে আতঙ্কে দিন কাটত স্থানীয় বাসিন্দাদের। এখন অবশ্য সেসব অতীত। তৃণমূল জমানায় শান্তি ফিরেছে এলাকায়। কিন্তু ঘটনা হল, আর্থ সামাজিক অবস্থার বিশেষ বদল ঘটেনি। বরুয়া কোচা গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই হতদরিদ্র বলা চলে। জঙ্গল থেকে শুকনো কাঠ ও শালা পাতা বিক্রি করে দিন গুজরান করেন তাঁরা। এমন পরিবারের ছেলে-মেয়েদের কাছে অনলাইনে পড়াশোনা করা স্বপ্নের মতো। স্মার্ট ফোনে চোখেই দেখেনি অনেকেই।
আরও পড়ুন: অধীর চৌধুরীর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা, তোলপাড় মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মহল
পুরুলিয়ার বরুয়া কোচা গ্রামে অল্প খরচে বাড়িতে বসে টেলিভিশনের মাধ্যমে পড়াশোনা করার ব্য়বস্থা করল একটি সংস্থা। বিশেষ একটি সফটওয়্য়ারের মাধ্যমে এই পদ্ধতিতে পড়াশোনা করতে পারবে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা। যেকোনও বিষয় সহজভাবে বোঝানোর জন্য থাকবে অ্যানিমেশনের ব্যবস্থাও।