সংক্ষিপ্ত
- বাইকে চেপে বন্ধুদের সঙ্গে কাশ্মীর যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা
- নয়ডা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে মারা গেলেন খড়দহের যুবক
- রবিবার রাতে বিমানে মরদেহ আনা হয় বাড়িতে
- দুর্ঘটনার কারণ ধোঁয়াশা, তদন্তে পুলিশ
বাইকে চেপে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোই ছিল নেশা। পড়াশোনার ফাঁকে সুযোগ পেলেই বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়তেন। আর সেই নেশাই শেষে কিনা প্রাণ কাড়ল ইঞ্জিনিয়ারিং এক মেধাবী ছাত্রের। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন মৃতের বাবা।
মৃতের নাম সৌরভ সাহা। বাড়ি, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের পাতুলিয়ার পঞ্চায়েত এলাকায়। বাবা ব্যবসায়ী, মা গৃহবধূ। স্বচ্ছল পরিবার। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, একটি বেসরকারি কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন সৌরভ। মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বাইক চালানোর নেশা ছিল সৌরভের। বন্ধুদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে বাইক নিয়ে বেরিয়েও পড়তেন। গত বৃহস্পতিবার দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বাইকে চেপে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন সৌরভ। শনিবার রাতে যখন নয়ডা হয়ে দিল্লির দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা, তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মারা যান সৌরভ। তাঁর বাকি দুই বন্ধ অবশ্য অক্ষতই আছেন। জানা গিয়েছে, সৌরভের বন্ধুরা প্রথমে নিজেদের বাড়িতে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর পান। তাঁদের কাছে ছেলের মৃত্যু সংবাদ পান সৌরভ সাহার বাড়ির লোকেরা। রবিবার রাতে গভীর রাতে সৌরভের দেহ পৌঁছায় খড়দহের পাতুলিয়ায়, তাঁর বাড়িতে। শেষকৃত্য হয় সোমবার সকালে।
কিন্তু কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার সময়ে যে দুই বন্ধু সৌরভের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের বক্তব্য, নয়ডা থেকে হাইওয়ে ধরে তিনটি আলাদা বাইকে চেপে দিল্লিতে দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। যাওয়া পথে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন সৌরভ। বেশ কিছুক্ষণ দেখতে না পেয়ে যখন বন্ধুরা বাইক থামিয়ে ওই যুবকের খোঁজল করতে শুরু করেন, তখন দেখেন রাস্তা সৌরভের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সৌর ডিভাইডাকে ধাক্কা মেরেছিলেন নাকি অন্য কোনও গাড়ি তাঁর বাইককে ধাক্কা দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।