সংক্ষিপ্ত
দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সেন্ট্রাল এভিনিউ এম জি রোড অবরোধ করে এসএফআই ডিওয়াইএফআই। সেখানেই পুলিশের সাথে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধও শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের।
আনিস মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে গত কয়েকদিন ধরেই রাজনীতির ময়দানে কার্যত ঝড়ো ইনিংস খেলছে বামেরা। লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়ে চলেছে সিপিআইএম-র ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI, a student organization of CPIM)। বিক্ষোভ-মিছিলকে কেন্দ্র করে একাধিক জায়গায় দফায় দফায় ছড়াচ্ছে উত্তেজনাও। এদিকে আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবারও পথে নেমেছিল বাম ছাত্র-যুবরা। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপারের অফিসে ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছিল এসএফআই-ডিওয়াইএফআই-র তরফে। সেই কর্মসূচি থেকে হিংসার অভিযোগে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারও করা হয়। এদিকে এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সেন্ট্রাল এভিনিউ এম জি রোড অবরোধ করে এসএফআই ডিওয়াইএফআই(MG Road is blocked by SFI DYFI)। সেখানেই পুলিশের সাথে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধও শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের। সন্ধ্যে সাতটা থেকে শুরু হয় এই বিক্ষোভ।
অন্যদিকে শনিবারই কলকাতায়ও আনিস খুনের সুবিচার চেয়ে পথে নামতে দেখা যায় সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্বকে। এদিন বিকেলে কলকাতায় সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা বড়সড় হোর্ডিং হাতে নিয়ে রাস্তায় নামেন। সেখান থেকেও লাগাতার তোপ দাগা হয় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। বামেদের সাফ দাবি দোষীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। এদিকে শনিবার হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপারের কার্যালয় অভিযানে বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল এগোতেই বেঁধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। এসপি অফিসের সামনে পুলিশি বাধার মুখে পড়ামাত্রই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বামপন্থী ছাত্র-যুবরা। ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। তাতে পুলিশকর্মীরা জখম হন বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসতে হয় দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি সিদ্ধিনাথ গুপ্তকে। ৬ নং জাতীয় সড়কের উপর দু’পক্ষের সংঘর্ষে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সেখানেই মীনাক্ষী ছাড়াও গ্রেফতার হন বামপন্থী ছাত্র নেতা সৃজন ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের
আরও পড়ুন- কাজের চাপে আত্মহত্যা, রেলের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ হাওড়ার লিলুয়া ইয়ার্ডে
আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার
অন্যদিকে আনিস মৃত্যুতে দোষীদের শাস্তির দাবিতে ধর্মতলায় যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে আজও কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদ। পুলিশের সঙ্গে হয় ব্যাপক ধস্তাধস্তি। গ্রেফতারও হন বেশ কয়েকজন। বেশ কিছুক্ষণের জন্য পথ অবরোধ করা হয়। এদিকে এদিনই আবার হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আনিসের দেহ তুলতে আজ ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়া গ্রামে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সঙ্গে ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিটের সদস্যরা। যা নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল গোটা এলাতায়।