সংক্ষিপ্ত

এর আগে গরু পাচারকাণ্ডে যখন অনুব্রতকে সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছিল, তখনও রাজ্যে ভোট ছিল। গত বছর এপ্রিলে বিধানসভা ভোট ছিল বাংলায়। ২৯ এপ্রিল ছিল বীরভূমে ভোট। এদিকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে অনুব্রতকে সিবিআই হাজির হতে বলেছিল।

একবার নয়, তাঁকে তিনবার তলব করেছিল সিবিআই (CBI)। কিন্তু, একবারও সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। এমনকী, গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling) আজও তাঁর সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আজ হাজিরা দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ২৫ ফেব্রুয়ারি ফের তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। 

সূত্রের খবর, সোমবার নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর। কিন্তু, আজও উপস্থিত ছিলেন না তিনি। তাঁর পরিবর্তে নিজাম প্যালেসে হাজির হন তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। তিনি বলেন, “অনুব্রতবাবু আজ আসতে পারেননি। তবে, বেশ কিছুটা সময় দিয়েছেন অফিসার। নির্দিষ্টভাবে আসার জন্যে পরে আবার নোটিস দেওয়া হবে।” গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রতকে বেশ কিছু প্রশ্ন করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা (Central Agency)। এই মামলায় এই নিয়ে তাঁকে মোট ৩ বার তলব করা হয়েছে। কিন্তু, প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। ২৫ ফেব্রুয়ারি আবার তাঁকে তলব করা হয়েছে। এরপর ফের যদি তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে সূত্রের খবর। 

আরও পড়ুন- এক মামলায় রক্ষাকবচের পরও মিলল না স্বস্তি, এবার গরু পাচারকাণ্ডে তলব অনুব্রতকে

এর আগে গরু পাচারকাণ্ডে যখন অনুব্রতকে সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছিল, তখনও রাজ্যে ভোট ছিল। গত বছর এপ্রিলে বিধানসভা ভোট ছিল বাংলায়। ২৯ এপ্রিল ছিল বীরভূমে (Election in Birbhum) ভোট। এদিকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে অনুব্রতকে সিবিআই হাজির হতে বলেছিল। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, শাসকদলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকেই হাতিয়ার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- 'কংগ্রেস-তৃণমূলের পথ আলাদা', ২০২৪-এর পরিকল্পনা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়

আর দ্বিতীয়বার যখন তাঁকে তলব করে সিবিআই, ঠিক তখনও ভোটের পরিবেশ বাংলায়। আজ তাঁকে তলব করা হয়েছিল। এদিকে আজই রাজ্যের ৪ পুরনিগমের ভোট গণনা। কিন্তু, আজ তিনি হাজিরা না দেওয়ায় তাঁকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ফের তলব করা হয়েছে। সেই সময়ও রাজ্যে পুরভোট রয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরভোট রয়েছে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায়। ঠিক তার আগেই তাঁকে ফের তলব করা হয়েছে। এদিকে বীরভূমের পুরসভাগুলির মধ্যে সাঁইথিয়ায় ইতিমধ্যেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। আর সেখানে সিউড়ি, রামপুরহাট, দুবরাজপুর ও বোলপুরের ভোট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ঠিক সেই সময়তেই তাঁকে তলব করেছে সিবিআই। অবশ্য ভোট নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী তিনি। এবার তৃণমূল জিতবে বলেই তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- বিধাননগরে জয়ী সবসাচী দত্ত, একাধিক ওয়ার্ডে ধামাকা তৃণমূলের

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence Case) চলতি মাসের শুরুতেই অনুব্রতকে রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, যে এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই। কিন্তু, তারপর একটা সপ্তাহ যেতে না যেতেই ফের অন্য মামলায় তাঁকে তলব করল সিবিআই। তবে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রক্ষাকবজ থাকলেও গরু পাচারকাণ্ডে রক্ষাকবজ নেই অনুব্রতর। ফলে এই মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে তিনি ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় বিভিন্ন অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির নাম উঠে এসেছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁকে। আজও তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেই হাজিরাও তিনি কার্যত এড়িয়েছেন। হাজিরার জন্য কয়েকটা দিন সময় চেয়েছেন তিনি।