সংক্ষিপ্ত

এবার কি কান টানলে মাথা আসে পদ্ধতি ধরল সিবিআই, কারণ গরুপাচার কান্ডে গ্রেফতার করা হল অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতির দেহরক্ষীকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় জেরা করা হয়।

গরুপাচার মামলা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা সিবিআই একাধিকবার তলব করলেও অসুস্থ সহ বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। শেষবার তিনি সিবিআই-র মুখোমুখি হন। এরপর ৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আর জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে আসতেই ফের সোজা এসএসকেম-র উডবার্ণে ভর্তি হন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট।

তবে এবার কি কান টানলে মাথা আসে পদ্ধতি ধরল সিবিআই, কারণ গরুপাচার কান্ডে গ্রেফতার করা হল অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতির দেহরক্ষীকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় জেরা করা হয়। বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি মেলে। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় সায়গলকে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। 

শুক্রবার সায়গলকে আদালতে তোলা হবে। উল্লেখ্য এর আগেও একাধিকবার নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাকে। সিবিআইয়ের আধিকারিকদের দাবি গরুপাচার সংক্রান্ত বহু তথ্যই তার কাছে রয়েছে। মুর্শিদাবাদে ডোমকলে সায়গলের বাড়িতে দিন কয়েক আগেই তল্লাশি চালিয়ে ছিল সিবিআই। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তির মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলেও, জিজ্ঞাসাবাদে য়ে গরুপাচার প্রসঙ্গ উঠে আসবেই, সেকথা বলা যায়। আর তাই স্পষ্টতই অস্বস্তিতে অনুব্রত মন্ডল। 

এর আগে তেসরা জুন সিবিআই দফতরে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। রাতে বাড়ি ফিরে গিয়ে ফের পুরোনো ছবিই ফিরল শুক্রবার। এদিন ফের চিনার পার্কের বাড়ি থেকে সোজা এসএসকেম-র উডবার্ণ ব্লকে চলে যান তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন কেষ্ট। তারপর ফিরে চিনারপার্কের নিজের বাড়িতে রাতে থাকেন। এদিকে শুক্রবার বেলা পেরোতেই দুপুর ১২ টা ৫০ নাগাদ পৌঁছে যান এসএসকেম-এ। সেখানে উডবার্নে ঢোকেন তিনি ।

চিনারপার্কের বাড়ি ফিরে,আইনজীবী মারফত সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানান, আপাততত অনুব্রত মণ্ডলকে ১৫ দিনের বিশ্রাম নিতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। সেই কারণে তিনি একদিন হাজিরা দিতে পারছেন না। কিন্তু তাতেও গলেনি মোম।