সংক্ষিপ্ত
- সাঁইথিয়ার সভা থেকে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল হুঙ্কার দেন
- বলেন, সিপিএম কর্মীদের মেরে পা ভেঙে দেবেন
- এবার তাঁর নতুন চ্যালেঞ্জ বিধানসভায় সব আসন দখল
কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে বিপদ। কিন্তু দমেননি তিনি। গত শুক্রবারই স্বমেজাজে ধরা দিয়েছিলেন তিনি। সাঁইথিয়ার সভা থেকে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল হুঙ্কার দেন সিপিএম কর্মীদের মেরে পা ভেঙে দেবেন। এবার তাঁর নতুন চ্যালেঞ্জ বিধানসভায় বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের সব আসনে জিততে না পারলে দল ছেড়ে দেবেন তিনি।
হ্যাঁ, শনিবার মুরাইয়ের একটি সভা থেকে বীরভূম জেলা সভাপতি এমনই বার্তা দিয়ে রাখলেন।
রাজ্য জুড়ে হিংসার আবহের বিরোধিতা করতেই শনিবার মুরাইয়ে প্রতিবাদসভা আয়োজন করে তৃণমূল। সেখান থেকেই বিজেপির উদ্দেশে তার রণহুঙ্কার- আমার দায়িত্বে বীরভূমের ১১টি, বর্ধমানের ৪টি ও মুর্শিদাবাদের ২টি বিধানসভা রয়েছে। নদিয়াতেও দায়িত্ব আছে। আমি দেখিয়ে দেব। একটি বিধানসভাতেও হারব না, আমি হারতে জানি না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি একটি বিধানসভাতেও হারব না। মানুষ উন্নয়ের স্বার্থে ভোট দেবে।"
অনুব্রতর আক্ষেপ আর মাত্র এক শতাংশ ভোট বাড়লে আরও দশটি আসন পকেটে ভরা যেত। তবে তিনি আশাবাদী ২০২১ অন্য রং দেখাবে।
প্রসঙ্গত লোকসভা ভোটের বিপর্যয়ের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ আছড়ে পড়েছে দলীয় নেতাদের ওপরে। সেই তোপ থেকে বাদ যাননি অনুব্রতও। মমতা তাঁকে 'শাস্তি' স্বরূপ নদিয়ার দায়িত্ব থেকে সরিয় দেন। প্রশ্নও করেন, 'কেন হারলে এতগুলো জায়গায়?' অনুব্রত এদিন সভাস্থল থেকে দাবি করেন দল তাঁকে ভাতারের দায়িত্ব দেয় এই বার।
অনুব্রতর অঙ্ক আপাতত পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধার। তাঁর সহজ হিসেব বামের ভোট রামে গিয়েছে। তিনি এবার পুরোটা দেখবেন 'মাঠের আগলদার' হয়ে।