সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার একটি পুরনো মামলায় হাজিরা দিতে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বিধাননগর বিশেষ আদালতে আনা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। সকাল ১১ টা নাগাদ বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে নিয়ে আসা হল তাঁকে।
 

অভিষেক বন্দ্যোপধ্যায়কে ইডির তলব প্রসঙ্গে প্রশ্ন করায় রীতিমত চটে যান কেষ্ট। তাঁর চাঁছাছোলা উত্তর, ‘‘নাচব? নাচব নাকি ডেকেছে বলে?’’ বৃহস্পতিবার বিধাননগর বিশেষ আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। 
বৃহস্পতিবার একটি পুরনো মামলায় হাজিরা দিতে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বিধাননগর বিশেষ আদালতে আনা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। সকাল ১১ টা নাগাদ বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে নিয়ে আসা হল তাঁকে। আদালতে ঢোকার মুখে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব নিয়ে অনুব্রতর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে খানিকটা বিরোক্ত হয়ে তিনি বলেন ‘‘নাচব? নাচব নাকি ডেকেছে বলে?’’ এদিন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে কেষ্ট বলেন,"পঞ্চায়েত ভোট ব্যাপক হবে।" 
উল্লেখ্য ২০১০ সালে বাম সরকারের আমলে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মামলায় অনুব্রতকে বৃহস্পতিবার হাজিরার নির্দেশ দেয় বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। সেই সময় জামিন অযোগ্য ধারায় মঙ্গলকোট থানায় তাঁর নামে মামলা দায়ের হয়েছিল। পরবর্তীকালে এই নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে না হলেও বর্তমানে যেহেতু তিনি সংশোধনাগাড়ে রয়েছেন তাই তাঁর আদালতে হাজিরা না দেওয়ার দায় বর্তাবে পুলিশের উপর। তাই এদিন  আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বিধাননগর বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হয় অনুব্রতকে। 
প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় অনুব্রতর সম্পত্তির খোঁজে বুধবার সাত সকালে বোলপুরে পৌঁছয় সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল। প্রথমেই বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনের বাড়িতে হানা দেয় তদন্তকারীরা। এলাকায় কেষ্টর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত মুন। তৃণমূল নেতার সঙ্গে বিভিন্ন কাজে তথা তাঁর বাড়িতেও একাধিকবার দেখা গিয়েছে মুনকে। এবারেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বজ্যোতি। তদন্তকারীদের পরবর্তী গন্তব্য হয় সুদীপ রায় বলে এক ব্যক্তির বাড়ি এবং সেখান থেকে অনুব্রত মণ্ডলের চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মণীশ কোঠারির বাড়িতেও  যায় সিবিআই। 

আরও পড়ুন সুকন্যার নামে আরও সম্পত্তি! সিবিআই-এর নজরে এবার কেষ্ট-কন্যা 


মঙ্গলবার ফের একবার সিবিআই-এর জেরার মুখে পড়েন অনুব্রত। গোরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে মিলেছে একাধিক সম্পত্তির হদিশ। জেরা করা হয় অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগল হুসেনকেও। এরপর দিনই বোলপুরে অভিযান চালায় সিবিআই। 

আরও পড়ুন জেলেও কেষ্টর 'ভরসা' সহগলেই, ওষুধ থেকে খাওয়া দাওয়া অনুব্রতকে 'আগলে' রাখছে সহগল 

আরও পড়ুন অনুব্রত ঘনিষ্ট ৩ তৃণমূল নেতা গ্রেফতার, বীরভূমে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নতুন করে সক্রিয় সিবিআই