সংক্ষিপ্ত
তৃণমূল সূত্রের খবর দলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাঁর অ্যারেস্ট মেমোয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও ফোন নম্বর লেখায় যথেষ্ট বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর অ্যারেস্ট মেমোয় বলেছেন ৭০ বছররের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর একজন আত্মীয় বা বন্ধু তাঁর সঙ্গে তিনি ফোনে কথা বলতে চান।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্ণীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচাতেও ঝাঁপিয়ে পড়েছে নেতৃত্ব। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস জানতে তৎপর তখন সেই টাকার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগাযোগ নেই বলে সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতৃত্ব ফিরহাদ হাকিমরা। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে যে আর্থিক তছরুপ হয়েছে সেখান থেকেই তোলা হিসেবে এই টাকা তোলা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ তৃণমূল।
তবে তৃণমূল সূত্রের খবর দলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাঁর অ্যারেস্ট মেমোয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও ফোন নম্বর লেখায় যথেষ্ট বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর অ্যারেস্ট মেমোয় বলেছেন ৭০ বছররের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর একজন আত্মীয় বা বন্ধু তাঁর সঙ্গে তিনি ফোনে কথা বলতে চান। একথা বলার পাশাপাশি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন নম্বরও দিয়েছিলেন তাঁর অ্যারেস্ট মেমোয়।
ইডি সূত্রের খবর একবার নয়, গ্রেফতারির পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় পরপর তিনবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেলিফোন করে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একবারও ফোন ধরেননি মমতা। সূত্রের খবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাত ১টা ৫৫ মিনিটে। গ্রেফতারির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় মমতাকে প্রথম ফোনটি করেছিলেন রাত ২টো ৩৩ মিনিটে। তারপর ৩টে ৩৭ মিনিট দ্বিতীয় আর তৃতী.য় কলটি করেছিলেন সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে। অর্থাৎ নাকতলার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে। কিন্তু একটি ফোনও রিসিভ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ জানিয়েছেন যে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তাঁর কোনও আত্মীয় বা বন্ধুকে ফোন করে তাঁর গ্রেফতারির বিষয়ে জানানোর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ফোনের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের তরফে জানান হয়েছে ফোন করার কথাই নয়। কারণ পার্থর মোবাইল ফোনটি থাকার কথা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকারিকদের কাছে।
অন্যদিকে শুক্রবার দিনভর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে যখন ইডির আধিকারিকরা হানা দেয় তখন থেকেই তিনি ও তাঁর অনুগামীরা নাকি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন। ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। সূত্রের খবর কেউ নাকি তাঁর ফোন ধরেননি। তাতেই বিরোধীদের প্রশ্ন তৃণমূল কি দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্ণীতি মামলার অন্যতম আইনজীবী তথা সিপিএমএর রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব অথচ তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হচ্ছে এই ঘটনায় দলের কোনও হাত নেই! এর বিহিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন মানুষ নিজেরাই আন্দোলনে নামুক - এটাই চায় বামফ্রন্ট। তাঁর আরও অভিযোগ গোটা প্রশাসনই দুর্ণীতিতে ভরে গেছে।
বাংলায় ফের ‘ভুয়ো’ সিবিআই, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার ৩
পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের পরবর্তী গন্তব্য ভূবনেশ্বর AIIMS, SSKM এ ঘোর আপত্তি ED-র
রোজ ঢ্ক ঢ্ক করে লেবুর জল খাচ্ছেন তো? জানেন না নিজের অজান্তেই কত বড় বিপদ ডেকে আনছেন