সংক্ষিপ্ত
রায়গঞ্জের গুলিবর্ষণ কাণ্ডে ৪৮ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনও 'মোটিভ' নিয়ে ধন্ধে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই ঘটনার মোড় ঘোরে।
রায়গঞ্জের গুলিবর্ষণ কাণ্ডে (Raiganj Shootout Incident) ৪৮ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনও 'মোটিভ' নিয়ে ধন্ধে পুলিশ। রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকায় একটি বাড়িতে প্রাক্তন ভাড়াটে ও বাড়িওয়ালার ঝগড়া থেকে হঠাৎ করে ওই (BSF) বিএসএফ-র কনস্টেবল 'মাথা গরম করেই ' এই গুলি চালনার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছিল পুলিশ । কিন্তু এমন কী কারণ ছিল যে, তার জন্য ৩ জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে হল। আর এখানেই 'মোটিভ' নিয়ে ধন্ধে পুলিশ (Police)। কিন্তু অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই ঘটনার মোড় ঘোরে।
সোমবার রাতে রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকায় একটি বাড়িতে শুটআউটের ঘটনার পর ২ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও ঘটনার 'মোটিভ' নিয়ে ধন্ধে পুলিশ।প্রাক্তন ভাড়াটে ও বাড়িওয়ালার ঝগড়া থেকে হঠাৎ করে ওই বি এস এফের কনস্টেবল 'মাথা গরম করেই ' এই গুলি চালনার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ মনে করছিল।কিন্তু ভাড়াটে ও বাড়িওয়ালার ঝগড়ার কারন এমন কী ছিলো যে তার জন্য ৩ জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে হল, মোটিভ হিসেবে কোনো ত্বত্ত্বই পুলিশ দাড় করাতে পারছিল না। কিন্তু মূল অভিযুক্ত শীতল রায়ের বাড়িতে তল্লাশী চালানোর পর এই ঘটনার পেছনে গভীর পরিকল্পনা রয়েছে বলে পুলিশের তদন্তকারী দল মনে করছে।মূল অভিযুক্তর বাড়িতে একাধিক সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও, তার স্টোরেজ ডিভাইস উধাও।
আরও পড়ুন, Bhabanipur By Election:ভবানীপুরে ধুন্ধুমারকাণ্ডে দিলীপের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৮
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময়ের বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া বিএসএফ কনস্টেবল শীতল রায় , দুস্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে সোমবার রাতে দেবীনগরের বাসিন্দা তিন ভাইবোনকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে। এই গুলি চালনার ঘটনায় এক মহিলা মারা যাওয়ার পাশাপাশি ওই বাড়ির আরও ২ জন গুলিতে মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তদন্তে নেমে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জয়শ্রী দাসকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি সিল করে দেওয়া হয়েছে মূল অভিযুক্ত বিএসএফ কনস্টেবল শীতল রায়ের কাশীবাটির বাড়ি।ওই বাড়ির সামনের অংশে একাধিক সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। যা দেখে তদন্তকারী পুলিশের ধারণা হয়, ওই ক্যামেরার ফুটেজ থেকে অভিযুক্তর গতিবিধি সম্পর্কে অনেক তথ্য, প্রমাণ পাওয়া যাবে। কিন্ত অভিযুক্তর বাড়ি সার্চ করে পুলিশ এখনো ওই সিসি ক্যামেরার স্টোরেজ ডিভাইস খুঁজে পায়নি।
এই ঘটনা থেকেই পুলিশের ধারণা হয়েছে, নিছক 'মাথা গরম' করে নয়, রীতিমতো 'পরিকল্পনা' করেই অভিযুক্ত ওই ৩ জনকে গুলি চালিয়েছিল। সেই কারনে নিজের গতিবিধির প্রমাণ লোপাট করতেই সে আগে থেকেই সিসি ক্যামেরার স্টোরেজ ডিভাইস অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে পুলিশ আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। তবে মূল অভিযুক্ত শীতল রায়ের দিদি জয়শ্রী দাসকে আদালত ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁকে টানা জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা