সংক্ষিপ্ত
লোকসভা উপনির্বাচনকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ আসানসোল। একের পর এক অভিযোগ তোলার পর অগ্নিমিত্রার ধারে কাছে মিডিয়াকে ঘেষতে দেওয়া হচ্ছে না, বলে টুইট করেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।
লোকসভা উপনির্বাচনকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ আসানসোল। একের পর এক অভিযোগ তোলার পর অগ্নিমিত্রার ধারে কাছে মিডিয়াকে ঘেষতে দেওয়া হচ্ছে না, বলে টুইট করেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। আসানসোলের ডিএম অরুণ প্রসাদ এবং ডিসিপি অভিষেক মোদীকে তিনি এই ঘটনা ঘটানোর জন্য দায়ী করেছেন। এখানেই শেষ নয়, ডেলাশাসকের বলা রাজ্য কমিশনের নিয়মের প্রসঙ্গ তুলেই অগ্নিমিত্রা তাঁদের 'মিথ্যেবাদী' বলে উল্লেখ করেছেন।
অগ্নিমিত্রা পাল এদিন টুইট করে বলেছেন, 'আসানসোলের ডিএম অরুণ প্রসাদ এবং ডিসিপি অভিষেক মোদী মিডিয়াকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কারণ তারা চাপ প্রয়োগ করে সমস্ত ভূলগুলিকেই ঢেকে রেখেছে। তার সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন যে, তাঁদের রাজ্য কমিশন থেকে আদেশ রয়েছে যে, মিডিয়া আমার সঙ্গে কোথাও যেতে করতে পারবে না।' উল্লেখ্য,সকালেই তৃণমূল-বিজেপির খণ্ডযুদ্ধের জেরে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রার গাড়ির উপর হামলা হয়েছে। ইটবৃষ্টি চালানো হয়েছে বিজেপি প্রার্থীর কনভয়ের উপরেও। হাত কেটে গিয়েছে নিরাপত্তারক্ষীর। পাশাপাশি এদিন দুপুরে আসানসোলে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। প্রায় দুই ঘন্টা তাকে আটকে রাখা হয় বলে জানান প্রাক্তন বিধায়ক। এদিকে জিতেন তিওয়ারির ইস্যুর পর কেন মিডিয়াকে আটকে রাখা হল, জানতে চেয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল।
আরও পড়ুন, 'তৃণমূলের তাবেদারি করছে পুলিশ', ভোট দিতে এসে বারবনির বুথের ইস্যুতে বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা
এদিন সকাল থেকেই একের পর এক ঘটনায় উত্তাল আসানসোল। বারাবনির যে বুথে এই ঘটনা ঘটে সেটি হল ১৭৬ নম্বর বুথ। মঙ্গলবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বারাবনির একাধির বুথে বিজেপি এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়া এবং ভোট রিগিং-এর অভিযোগ পেতে থাকেন। এরপরই তিনি বারাবনির বিভিন্ন বুথে তিনি নিজে পরিদর্শন করতে শুরু করেন। ১৭৬ নম্বর বুথের কাছে অগ্নিমিত্রা গাড়ি নিয়ে আসতেই দেখেন রাস্তার উপরে অসংখ্য মানুষ ভিড় করে রয়েছে। এদের অধিকাংশের হাতেই ভোটার আইডি ছিল। অগ্নিমিত্রা জিজ্ঞেস করতেই তাঁরা জানান যে, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। এমনকী অগ্নিমিত্রাকে বুথের কাছে যেতেও বাধা দিতে থাকেন এই সব মানুষ। তারা অগ্নিমিত্রার গাড়ি এবং কনভয় ঘিরে ধরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। উত্তেজিত-মারমুখি তৃণমূল সমর্থকদের রোষের সামনে থেকে গাড়ির কনভয় নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন অগ্নিমিত্রা। সামনে কিছুটা দূর এগিয়ে পুলিশকে দেখে থেমে পড়েন। বুথের সামনে কেন পুলিশ নেই সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ ব্যক্ত করতে থাকেন। হায়-হায় বলে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও দিতে দেখা যায় অগ্নিমিত্রাকে। যদিও গোটা ঘটনার দায় তিনি তৃণমূলের উপরেই চাপিয়েছেন।