সংক্ষিপ্ত

'ওড়িশায় শ্রীঘর সাফ হচ্ছে, ওখানেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে লুডো খেলবেন অনুব্রত', আসানসোল লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে বগটুইকাণ্ডে বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।

'ওড়িশায় শ্রীঘর সাফ হচ্ছে, ওখানেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে লুডো খেলবেন অনুব্রত', আসানসোল লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে বগটুইকাণ্ডে বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। উল্লেখ্য দোরগড়ায় উপনির্বাচন। এদিকে এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপির হাতে সবথেকে শক্তিশালী ইস্যু রামপুরহাট বগটুই হত্যাকাণ্ড। আর এই বগটুইকাণ্ডে বিজেপির বানানো রিপোর্টে সবথেকে শীর্ষেই রয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি। আর এবার নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রচারে বেরিয়ে অনুব্রত মন্ডলকে একহাত নিলেন অগ্নিমিত্রা পাল।

'ওড়িশায় শ্রীঘরে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে লুডো খেলবেন অনুব্রত'

দুর্গাপুরের সরপি থেকে আসানসোলে প্রচারে এসে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ইডি ডাকলেই উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চলে যান উডবার্ন ওয়ার্ডে। ইসিজি সিটিস্ক্যান হলে সোনার আঙটি, সোনার গয়না খুলতে হয়।উনি অসুস্থ মানুষ । কী আর বলব। ওকে বলে দেবেন, ওর জন্য ওড়িশার শ্রীঘর পরিষ্কার করা হচ্ছে। খুব তাঁড়াতাড়ি ওকে ওখানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে খেলা হবে গান গাইতে গাইতে লুডো খেলবেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।'

আরও পড়ুন, সিবিআই তদন্তে চাপ বাড়ল কি অনুব্রতদের, হাইকোর্টের নির্দেশে বেজায় খুশি বিজেপি

ঝুলে রয়েছে অনুব্রত-র ভাগ্য

প্রসঙ্গত, বগটুই হত্যাকাণ্ডে গেরুয়া শিবিরে সবচেয়ে বড় যে নামটা এই মুহূর্তে ঘুরছে, সেটা অনুব্রত মন্ডল। রামপুরহাটকাণ্ডে যতই আনারুল-সহ অন্যরা গ্রেফতার হোক, তা নিয়ে ভ্রুক্ষেপও নেই বিজেপি। তাঁদের স্পষ্ট যুক্তি, 'চুনোপুটি ধরে রাঘব বোয়াল আড়ালের চেষ্টা।' এদিকে অনুব্রত ভাগ্য ঝুলেই রয়েছে। কারণ গরুপাচারকাণ্ডে আগে থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন তিনি। এদিকে নতুন করে জুটেছে বগটুইকাণ্ড। আর এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে খোদ সিবিআই। স্বাভাবিকভাবেই যে 'অনুব্রতর কথা ছাড়া বীরভূমের পাতা নড়ে না', সেই অনুব্রতকেই নিয়ে এখন চিন্তায় রয়েছেন অনুগামীরা।

আরও পড়ুন, হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আরজি খারিজ, বড় ধাক্কা অনুব্রত মন্ডলের

ফুল ফোকাসে অনুব্রত

অপরদিকে, রামপুরহাট বগটুই হত্যাকাণ্ডে জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিজেপি-র ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্ট বাংলার আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার দিন পুলিশ কর্মী এবং এসডিপিও-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের তাঁদের সাংবিধানিক দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। তবে তৃণমূলের মধ্যে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের খবর, বিজেপির জমা দেওয়া ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের নামও।যদিও বিজেপি ওই রিপোর্টে ক্ষুব্ধ হন মমতা।  

আরও পড়ুন, বগটুইহত্যাকাণ্ডকে 'পৈশাচিক' ব্যাখ্যা, 'হিংসা বন্ধ হোক', মমতাকে চিঠি অপর্ণা-অনুপম-পরমব্রতদের

অনুব্রতকে বাঁচানোর চেষ্টাতেই কি পাল্টা কমিটি তৃণমূলের ?

প্রেস কনফারেন্সের সামনে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, '  'বগটুইকাণ্ডে সিবিআইকে সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। বিজেপি নিজস্ব রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এই রিপোর্ট প্রতিহিংসামূলক। রামপুরহাট বগটুই হত্যাকাণ্ডে এই রিপোর্ট সিবিআই-র তদন্তকে আরও দুর্বল করে তুলবে। বিজেপির আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি ওদের রিপোর্ট দেখেছি। আমি ওদের রিপোর্ট দেখেছি। ওরা কোনও তদন্ত ছাড়াই কীভাবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের নাম বলল' প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। কিন্তু বিজেপির ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি হতে না হতেই পাল্টা ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি খুলেছে এবার তৃণমূলও। এবার দেখার শেষ হাসি কে হাসে, গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।