সংক্ষিপ্ত
রামপুরহাটকাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সিবিআই তদন্তে চাপ বাড়ল কেষ্ট-বিষ্টুদের।
রামপুরহাটকাণ্ডে (Birbhum Rampurhat Violence) ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সিবিআই তদন্তে চাপ বাড়ল কেষ্ট-বিষ্টুদের (Anubrata Mandal )।' সামান্য ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুনোপুটিদের জেলে পুরে রাঘব বোয়ালদের আড়াল করতে চাইছিল তৃণমূলের সরকার।', এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। তাই সিবিআই তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের বীরভূমের জেলার শীর্ষ নের্তৃত্বে উদ্বেগের মধ্যে পড়ে গেলেন।
প্রসঙ্গত, আগের থেকেই গরু পাচারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চোখে পড়ে গিয়েছেন কেষ্ট অর্থাৎ অনুব্রত মন্ডল। এবার রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে তৃণমূলের অভ্যান্তরীণ লড়াই নিয়ে তদন্ত শুরু হলে অনুব্রত-রও ভূমিকা খতিয়ে দেখতে পারেন সিবিআই কর্তারা। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই বলা শুরু করেছেন কান টানলে মাথা আসে। ব্লক সভাপতি গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে আগাম আনারুল হোসেনদের কাছে থাকলেও বীরভূম জেলা নের্তৃত্বের কাছে কিছুই কি ছিল না, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য, প্রশ্ন উঠেছে।রামপুরহাটের গণহত্যা হওয়ার পরদিন সকালেও অনুব্রত মন্ডল বলেছেন, ওখানে শর্টসার্কিট হয়েছে। তার মানে আসল ঘটনা জেনেও ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। বলে দাবি বিরোধীদের। সিবিআই কি অনুব্রতকে নিয়ে এবার টানাটানি শুরু করবে, জানার অপেক্ষায় সারা বাংলা।
আরও পড়ুন, 'রাষ্ট্রপতি শাসন চাই', বাংলার হিংসাকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে রাজ্যসভায় কেঁদে ফেললেন রূপা
অনুব্রত মণ্ডলকে বিরোধীরা অনেকেই মশকরা করে বীরভূমের ছোটো মুখ্যমন্ত্রী বলেন। এদিকে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি বিজেপি নের্তৃত্ব। রামপুরহাটকাণ্ডে জেলা নের্তৃত্বের ভূমিকা খতিয়ে দেখা উচিত, ইতিমধ্যেই জানিয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের বক্তব্য বিশেষত অনুব্রুত মণ্ডলকে ঘিরেই। তবে তৃণমূলের ভিতরে আনারুলকে বিশেষ করে গ্রেফতারের পর অনুব্রতকে নিয়ে ব্লক সভাপতির অনুগামীরা অনেকেই কথা তুলেছেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের ঘটনাস্থলে গিয়েই বলেন, 'অবিলম্বে আনারুলকে গ্রেফতার করতে হবে। হয় আনারুল আত্মসমর্পণ করুক, নতুবা যেখান থেকে হোক, আনারুলকে গ্রেফতার করা হোক।' তারপর সেই নির্দেশ মতোই আনারুলের বাড়ি পৌছয় পুলিশ। কিন্তু রুখে দাঁড়ায় আনারুলের অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, 'আনারুল ভাল মানুষ। গ্রেফতার করা হলে ব্যপক প্রতিবাদ হবে।' অন্যদিকে অনুব্রতর নামে অভিযোগ তুলেছেন আনরুলের ভাইপো। তাঁর অভিযোগ, 'অনুব্রত মন্ডল ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।' সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর বিরোধীদের বক্তব্য, কান টানলে মাথা আসে। সেক্ষেত্রে সিটের কাছে আনারুল কী জবানবন্দী দেয়, গোটা পরিস্থিতি বিবেচনার পর অনুব্রত মণ্ডলকে ডাকা হলেও হতে পারে। ডাকা হতে পারে জেলার অন্যান্য শীর্ষ নের্তৃত্বেকেও।