সংক্ষিপ্ত
একটি ফাঁকা ঘরে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি শিশু। আচমকাই এক মহিলা সেই ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত শিশুটিকে তুলে আছাড় মারে। আর্ত চিৎকার দিয়ে কেঁদে ওঠে শিশুটি। অথচ নির্লিপ্ত ওই মহিলা।
ফাঁকা ঘরে আচমকাই কেঁদে উঠত দু'বছরের শিশুটি। নাক মুখ দিয়ে রক্ত ঝড়তেও দেখা যেত। ডাক্তার দেখিয়ে কোনও মতেই কোনও কারণ খুঁজে পাননি শিশুর মা বাবা। অবশেষে সমস্ত বিষয় সামনে এল একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে।
ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ফাঁকা ঘরে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি শিশু। আচমকাই এক মহিলা সেই ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত শিশুটিকে তুলে আছাড় মারে। আর্ত চিৎকার দিয়ে কেঁদে ওঠে শিশুটি। অথচ নির্লিপ্ত ওই মহিলা। উপরোন্তু আরও বেশ কয়েকবার শিশুটিকে তুলে একইভাবে আছাড় মারে সে। তারপর বাচ্চাটিকে তুলে আবার বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান তিনি। হারহিম করা এই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছে পুরাতন মালদাহর যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিগড় এলাকার লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে দাবি ভিডিয়োর ওই মহিলা সম্পর্কে শিশুটির জেঠিমা হন। নিজের জা-এর বাচ্চার সঙ্গে এমন পাশবিক আচরণের কোনও কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন।
বেশ কিছুদিন ধরেই মাঝে মাঝেই শিশুর নাক দিয়ে মুখ দিয়ে রক্ত ঝড়ে। হঠাৎ হঠাৎ কেঁদে ওঠে বাচ্চাটি। বহু ভেবেও কোন কারণ খুঁজে বার করতে না পেরে ছেলের ঘরে একটি ফোনের ক্যামেরা লুকিয়ে রাখেন শিশুর মা অপর্ণা বিশ্বাস। আর তার পরেই সামনে আসে গায়ে কাঁটা দেওয়া এই ঘটনা।
আপাতত একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি শিশুটি। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সালিশি সভা ডেকে মহিলাকে গ্রামছাড়া করার নিদান দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত শিবানী বিশ্বাস দুই ছেলে ও এক মেয়ের মা। এক ছেলের বয়স আট আর এক জমের বয়স ছয়। আর মেয়ের বয়স পাঁচ। তিন সন্তানের মা হয়েও কী ভাবে এই নৃশংস ঘটনা ঘটালেন শিবানী? সমগ্র দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত অভিযুক্তের স্বামী ও পরিবার।
আরও পড়ুন - বস্তায় বোঝাই করা মানব শিশুর ভ্রূণ পড়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে, চাঞ্চল্য উলুবেড়িয়ায়
আক্রান্ত শিশুর ঠাকুমা উষারানি বিশ্বাস জানান, মাঝেমধ্যেই কেঁদে উঠত নাতি। নাক মুখ দিয়ে রক্তও বেরোত। এখন গোটা ঘটনা জলের মত পরিষ্কার।
প্রতিবেশীদের দাবি অপর্ণার ছেলেকে হিংসা করতেন শিবানী। তাঁর ধারণা ছিল তাঁর তিন সন্তানের থেকে ঠাকুমার বেশি প্রিয় অপর্ণার ছেলে। সেই রোষেই এই পদক্ষেপ বলে ধারণা স্থানীয়দের। তবে কোনও পারিবারিক অশান্তিও থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
যদিও গোটা ঘটনা সম্পর্কে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন - সাভারকারের পোস্টার লাগানো ঘিরে বচসার জেরে কুপিয়ে খুন! ঘটনায় গ্রেফতার চার