সংক্ষিপ্ত

  • পুরুলিয়ার বলরামপুরের ঘটনা
  • প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আটক বজরং দলের নেতা
  • আটক আরও এক বিজেপি নেতা
  • পরে দু' জনকেই ছেড়ে দেয় পুলিশ

প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আগেই আটক করা হলো বজরং দলের নেতাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়াল পুরুলিয়ার বলরামপুরে।বজরং দলের ওই নেতার সঙ্গেই বিজেপি-র স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যকেও আটক করে পুলিশ। আটক দু' জনের নাম রাজেশ পাত্র ও বিরিঞ্চি কুমার। 

বজরং দলের নেতাদের অভিযোগ, এ দিন সকালে বলরামপুর বাস স্ট্যান্ড- এ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার তোড়জোড় করছিলেন তাঁরা। সেখানেই হঠাৎ হাজির হয়ে রাজেশ পাত্রকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। একইভাবে বাড়ি থেকেই আটক করা হয় বিজেপি নেতা বিরিঞ্চি কুমারকে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। গোটা বাস স্ট্যান্ড ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। পরে বিজেপি-র জেলা পরিষদ সদস্য গোপীনাথ গোস্বামী পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। তখন পুলিশের তরফে জানানো হয়, জাতীয় পতাকা উত্তোলনে কোনও আপত্তি না থাকলেও কোনও মিছিল করা যাবে না। 

পাল্টা বিজেপি-র তরফে দাবি করা হয়, আটক দু' জনকে ছাড়লে তবেই পতাকা উত্তোলন করা হবে। এই দাবি মেনে নিয়ে বিরিঞ্চি এবং রাজেশকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে বলরামপুর বাস স্টপ-এ পতাকা উত্তোলন করেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় নিহত বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাতর বাবা হাড়িরাম মাহাত। উপস্থিত ছিলেন আরও এক নিহত বিজেপি কর্মী দুলাল কুমারের বাবা মহাবীর কুমারও।

পতাকা উত্তোলনের পর মিছিল না করলেও পথসভা করে বিজেপি এবং বজরং দল। সেই সভা থেকে বিজেপি নেতা হুঁশিয়ারি দেন, ভবিষ্যতে এ ভাবে পুলিশ তাঁদের নেতা কর্মীদের তুলে নিয়ে গেলে থানার একটি ইটও আস্ত থাকবে না।