সংক্ষিপ্ত
বাংলা পক্ষের স্পষ্ট দাবি বাংলায় মেডিক্যালে ভর্তিতে ডোমিসাইল বি বাতিল করতে হবে। একইসাথে যারা কাস্ট সার্টিফিকেট ও ডোমিসাইল জাল করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্বাস্থ্য ভবনের দুর্নীতি নিয়ে বারেবারেই নানা প্রশ্ন উঠেছে বাংলার প্রশাসনিক মহলের অন্দরেই। এবার এই ইস্যুতেই অভিযোগ দায়ের বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়। নথি জাল করে অন্য রাজ্যের ছেলে, মেয়েরা এ রাজ্যে মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাচ্ছে আর তাতে স্বাস্থ্য দফতরের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই এমনি অভিযোগ করলো বাংলার পক্ষ সংগঠনের তরফ থেকে। কাস্ট ও ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জাল করে বাংলার রাজ্যের জন্য সংরক্ষিত ৮৫% আসনে বাইরের রাজ্য যেমন বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, রাজস্থান থেকে ছেলেমেয়েরা ভর্তি হচ্ছে। বিমভিষা মহাপাত্র নামে এরকমই একজনের নাম সামনে আসতেই নতুন করে শুরু হয় শোরগোল। ওড়িশা ও বাংলা দুই রাজ্যেরই কোটায় নাম রয়েছে তাঁর। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? এই প্রশ্ন তুলেই এদিন সরব হয়েছে বাংলা পক্ষ।
বাংলা পক্ষের দাবি এই পড়ুয়াটি ওড়িশায় জেনারেল ক্যাটাগরিতে আবেদন করলেও বাংলায় এসসি ক্যাটাগরিতে আবেদন করেছে। তাদের সাফ দাবি কাস্ট সার্টিফিকেট জালিয়াতি করেছে এই প্রার্থী। এমমকি সে ইতিমধ্যেই NRS মেডিক্যাল কলেজে এসসি কোটায় জায়গাও পেয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেই বিধাননগরে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলো বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষর তরফে শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাংলার পক্ষের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারি পড়ার জন্য যেখানে ৮৫% সিট এ রাজ্যের ছেলে-মেয়েদের জন্য রয়েছে তার মধ্যে দুর্নীতি করে, নথি জাল করে বিভিন্ন রাজ্যের ছেলে মেয়েরা ঢুকে পড়ছে। তাদের আরও অভিযোগ যেখানে বাংলার ছেলে-মেয়েরাই সুযোগ পাচ্ছেনা সেখানে কিভাবে অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা এ রাজ্যের নথি জাল করে সুযোগ পাচ্ছে।
আরও পড়ুন- যোগী ঝড়ে ধরাশায়ী অখিলেশ-মায়াবতী, উত্তরপ্রদেশে সর্ব বৃহৎ দল হিসাবে ফের আত্মপ্রকাশ বিজেপির
বাংলা পক্ষের স্পষ্ট দাবি বাংলায় মেডিক্যালে ভর্তিতে ডোমিসাইল বি বাতিল করতে হবে। একইসাথে যারা কাস্ট সার্টিফিকেট ও ডোমিসাইল জাল করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি যেসব আধিকারিক এই জাল কাস্ট ও ডোমিসাইল সার্টিফিকেত ইস্যু করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। তার সাথেই দুই রাজ্যের রাজ্য তালিকায় নাম থাকা ছেলেমেয়েদের বাংলায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি বাতিল করতে হবে। যদিও বাংলার পক্ষের আগেও এই একই দাবি উঠেছে বাংলার শিক্ষা মহলের অন্দরেও। এবার প্রকাশ্যেই এই ধরণের জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় তা নিয়ে জোরদার শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।