সংক্ষিপ্ত

এই সংগঠন এক বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করেছে যে স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলার কোন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বাংলার ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকারের প্রশ্নে প্রকাশ্যে নৈতিক শিলমোহর এল। ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে। 

বুধবার মালদায় প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক থেকেই বাংলা ভাষাকে (Bengali Language) প্ৰাধান্য দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।  এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান যে, 'রাজ্যে সরকারি চাকরি পেতে গেলে বাংলা ভাষা (Bengali Language) অবশ্যই জানতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে বাংলা পক্ষ (Bangla Pakkho)। 

এই সংগঠন এক বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করেছে যে স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলার কোন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বাংলার ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকারের প্রশ্নে প্রকাশ্যে নৈতিক শিলমোহর এলো। ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে। একই সাথে বাংলা পক্ষ বাংলায় সকল বেসরকারি কাজে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ এবং রাজ্য সরকারি কাজে বাংলা ভাষার পরীক্ষা দিয়ে ১০০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু করতে অবিলম্বে আইন প্রণয়ন করার দাবি জানায়। 

গত ৪ বছর ধরে বাংলা পক্ষ একাধিকবার বাংলায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে সরব হয়েছে। বাংলা পক্ষের দাবি এর ফলে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আজ বাংলায় বাঙালি জাতির তথা সকল ভূমিপুত্রর গণদাবিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলার সরকারের দায়িত্ব বাংলায় বাঙালি সহ বাংলার সকল মানুষের গণদাবিকে বাংলায় আইনে রূপান্তরিত করা।

বাংলায় কাজ আছে, বাঙালির কাজ নেই। যেহেতু বাঙালির কাজ নেই, বাঙালি ভাবে বাংলায় কাজ নেই। এর কারণ বাংলার সকল শিল্পাঞ্চলে পুঁজি, ব্যবসা, টেন্ডার বহিরাগতদের দখলে এবং এই মালিকানা থেকে শুরু করে কর্মচারী, শ্রমিক, ঠিকাদার সবক্ষেত্রে তারা বহিরাগত স্বজাতীয়দের নেয়। বঞ্চিত হয় বাংলা ও বাঙালি।

বাংলা পক্ষ জানিয়েছে হাওড়ার প্রশাসনিক মিটিং এ পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিকের বক্তব্যে উঠে এসেছে কিভাবে হাওড়ার কারখানাগুলোতে বিহার উড়িষ্যার লোকজনের কর্মসংস্থান হচ্ছে ৯৯ শতাংশ এবং বাঙালির ১ শতাংশ। বাংলায় বর্তমানে যে বিপুল সংখ্যক শিল্প এবং কর্মসংস্থান রয়েছে সেখানে কাজ পাওয়া বাঙালির শতাংশ নগণ্য এবং প্রায় সকল ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের সচেতনভাবে বঞ্চিত করে বহিরাগতদের ডেকে এনে কাজ দেওয়া হয়। এটা আসানসোল শিল্পাঞ্চল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল, খড়্গপুর শিল্পাঞ্চল, হলদিয়া শিল্পাঞ্চল, হাওড়া শিল্পাঞ্চল, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল, বৃহত্তর কলকাতা, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ইসলামপুর সকল ক্ষেত্রে সত্য। 

এই সংগঠন বিবৃতিতে জানিয়েছে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ না হলে বাংলায় আগামীতে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে যে তাজপুর বন্দর, যে দেউচা পাচামি কয়লাখনিকে কেন্দ্র করে, যে অশোকনগরের তেলের খনিকে কেন্দ্র করে, যে হাওড়ায়-উত্তর ২৪ পরগনায়-নদিয়ায় লজিস্টিকস হাব গুলিতেও বাঙালি তথা অন্য ভূমিপুত্রর কোন জায়গা থাকবেনা। 

এই সংগঠনের তরফ থেকে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের বিষয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে স্বাগত জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সরকারি নিয়ম ও আইনে রূপান্তরিত করার দাবিতে বাংলা পক্ষর আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।