সংক্ষিপ্ত
বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরে প্রেমিককে চার তলা থেকে ঠেলে ফেলে দিল প্রেমিকা। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। বার নতর্কী প্রেমিকা চার তলা থেকে ফেলে দেয় ছেলেটিকে। মৃত ছেলেটির নাম শশীকান্ত মালিক। বয়স ৩২ বছর। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বাউরিয়ার বুড়িখালি এলাকায়। স্বামীর মৃত্যুর পরই মৃত শশীকান্তের স্ত্রী মামনি মালিক ওই প্রেমিকার নামে অভিযোগ দায়ের করেছে এবং মামনির অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত বার নতর্কী কেয়া সরকার ওরফে টিনাকে গ্রেফতার করেছে বাউরিয়া থানার পুলিশ।
বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক যেন এখন জলভাত। সকলের ঘরে ঘরেই এখন এক্সট্রা ম্যারিট্যাল অ্যাফেয়ার নিয়েই নিত্য নৈমিত্তিক অশান্তি লেগেই রয়েছে। একাধিক সম্পর্ক , পরকীয়ায় (Extra Marital Affair with Bar Dancer ) ছেলেও মেয়ে উভয়েই জড়িত। এবার বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরে প্রেমিককে চার তলা থেকে ঠেলে ফেলে দিল প্রেমিকা। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। বার নতর্কী প্রেমিকা চার তলা থেকে ফেলে দেয় ছেলেটিকে। মৃত ছেলেটির নাম শশীকান্ত মালিক। বয়স ৩২ বছর। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বাউরিয়ার বুড়িখালি এলাকায়। স্বামীর মৃত্যুর পরই মৃত শশীকান্তের স্ত্রী মামনি মালিক ওই প্রেমিকার নামে অভিযোগ দায়ের করেছে এবং মামনির অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত বার নতর্কী কেয়া সরকার ওরফে টিনাকে গ্রেফতার করেছে বাউরিয়া থানার পুলিশ।
কীভাবে মামনির স্বামী শশীকান্তের সঙ্গে আলাপ হল নতর্কী কেয়া সরকার তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। পুলিশ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, অঙ্কুরহাটির একটি হোটেলে গান গাইতেন শশীকান্ত। এবং ওই হোটেলেরই নতর্কী ছিলেন টিনা। শশীকান্তের আকস্মিক মৃত্যুর পরই মামনি জানিয়েছেন,ওই হোটেলেই তার স্বামী শশীকান্তের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল টিনার (Bar Dancer and singer love Affairs )। দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করতে করতেই তারা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রেম এতটাই গভীরে পৌঁছায় যে বছর খানেক আগে থেকেই শশীকান্ত টিনাকে নিয়ে বাউড়িয়ায় একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেন।
আরও পড়ুন-আট দিনে মোদীকে দুটো চিঠি মমতার, কেন্দ্রের IAS ক্যাডার সংশোধনে আপত্তি মুখ্যমন্ত্রীর
আরও পড়ুন-অ্যাপের আড়ালে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা, পুলিশের দ্বারস্থ আমতলার ১২০০ বাসিন্দা
মামনি পুলিশকে আরও জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ টিনা ফোন করে বলেন যে শশীকান্ত চার তলার ছাঁদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন (Girlfriend kills boyfriend in Howrah)। টিনার মুখ থেকে এই কথা শুনে হতবাক হয়ে ওঠেন শশীকান্তের স্ত্রী মামনি। কিন্তু টিনার কথা মোটেই বিশ্বাস হয়না তার। পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে মামনি আরও বলেন, তার স্বামী শশীকান্তকে পরিকল্পনা করেই খুন করেছে নতর্কী টিনা। শশীকান্তর স্ত্রী মামনির অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত বার নতর্কী কেয়া সরকার ওরফে টিনাকে গ্রেফতার করেছে বাউরিয়া থানার পুলিশ। তবে কী কারণে প্রেমিককে এমন নৃশংস ভাবে হত্যা করল নতর্কী টিনা, তা নিয়ে ধোয়াশা বাড়ছে। যদি এর কোনও কারণও প্রকাশ্যে আসেনি এখনও পর্যন্ত। বৃহস্পতিবারই ধৃত টিনা-কে উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। মামনিও তার স্বামীর শশীকান্তর মৃত্যুর সাজা চান বিচারকের কাছে। আদালতের বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আপাতত জেলের বদ্ধ কুটুরিতেই রয়েছে নতর্কী টিনা।