সংক্ষিপ্ত
- স্বস্তি দিতে এসে নিজেই অস্বস্তির মুখে পড়লেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী
- বুলবুলের তাণ্ডবে বসিরহাটের রাস্তায় ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছ
- তা কাটতে গিয়েই যাবতীয় বিপত্তি বিপর্য় মোকবিলা কর্মীর
- গাছ কাটার করাতে পা আলাদা হয়ে গেল মনোজ কুমারের
স্বস্তি দিতে এসে নিজেই অস্বস্তির মুখে পড়লেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী। বুলবুলের তাণ্ডবে বসিরহাটের রাস্তায় ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছ। তা কাটতে গিয়েই যাবতীয় বিপত্তি। গাছ কাটার করাতে পা আলাদা হয়ে গেল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মনোজ কুমারের।
ইতিমধ্য়েই তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকেই তাঁকে কলকাতায় স্তানান্তরিত করা হয়। বুলবুলের তাণ্ডবে গাছ পড়ে থাকায় এদিন প্রায় চার ঘণ্টা টাকি রোড বন্ধ হয়ে পড়ে। সকাল দশটা পর্যন্ত এলাকায় স্বাভাবিক জনজীবন একপ্রকার রাস্তার কারণে স্তব্ধ হয়ে যায়। পরে জাতীয় বিপর্যয় দলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেন।
এমনিতেই যান চলাচলের ক্ষেত্রে রাজ্যের অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা টাকি রোড। য়ে কারণে রবিবার সকাল থেকেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা এসে গাছ কেটে সরাতে থাকে। তাদেরই ধারালো করাতে এক সহকর্মী মনোজ কুমারের ডান পায়ে পড়লে পা দুভাগ হয়ে যায় । এই ঘটনার জেরে এলাকায় গাচ কাটা বন্ধ হয়ে যায়। কর্মীর অভাবে প্রায় চার ঘণ্টা টাকি রোড ফের স্তব্ধ হয়ে পড়ে। দুপুর তিনটে থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় ।
রাজ্যে গতকালা থেকেই বুলবুলের তাণ্ড শুরু হয়েছে। বহু জায়গায় বুলবুলের ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছে বহু গাছ। খাস কলকাতায় গাছ পড়ে মারা গিয়েছেন এক ব্য়ক্তি। উপকূলবর্তী এলাকার পাশাপাশি কলকাতায় গত দুদিন ধরে অনবরত বৃষ্টি হয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টি না হলেও হাওয়ার তীব্রতার কারণে বহু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে বাংলাদেশের দিকে ঘুর যেতেই বুলবুল থেকে মুক্তি পেয়েছে রাজ্য়বাসী। তবে উপকূলে বুলবুলের কারণে ক্ষতি হয়েছে অনেক বেশি।