সংক্ষিপ্ত
মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির ভোটে সন্ত্রাস এবং ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসক দলের ব্লক সভাপতি এবং জেলা সভাপতির নেতৃত্বে বিরোধীদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির ভোটে সন্ত্রাস এবং ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসক দলের ব্লক সভাপতি এবং জেলা সভাপতির নেতৃত্বে বিরোধীদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ তাদের পোলিং এজেন্টদের থাকতে দেওয়া হয়নি। সময়ের আগে শেষ হয়ে গিয়েছে ভোট। ভোট দিতে এসে ঘুরে গেছে সাধারণ ভোটার। অভিযোগ সিপিআইএমের। সব মিলিয়ে মালদা জেলার রতুয়া হাই মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে রণক্ষেত্র এলাকা।
রবিবার সকাল ৯ টা থেকে ভোট শুরু হয় মাদ্রাসাতে। তৃণমূল সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের ত্রিমুখী লড়াই। গতকাল তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সংঘর্ষের পর আজ নির্বাচনের দিন সকাল থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল স্কুল চত্বরে। শুরু থেকে নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভাবেই হচ্ছিল। কিন্তু একটু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অভিযোগ বেলা একটা নাগাদ তৃণমূল জেলা সভাপতি রহিম বক্সির ছেলে বাবু বক্সির নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী এলাকা বাহারাল থেকে কিছু বহিরাগত লোকজন আসে মাদ্রাসাতে। সিপিআইএমের পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি মারধর করা হয় ভোটের দায়িত্বে থাকা শিক্ষককেও। তারপর পুলিশ প্রশাসনের সামনে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়। পরে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, ছাপ্পা ভোটের কাজে সিভিক পুলিশদের ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু সমগ্র ঘটনায় নিশ্চুপ ছিল পুলিশ প্রশাসন।
সিপিএম-এর অভিযোগ মাদ্রাসার ভোটকে কেন্দ্র করে বোমাবাজিও হয়েছে। বেলা ৩ টার পর ভোটাররা ভোট দিতে এলে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে ভোট শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসক দলের দাবি ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয়েছে। পরাজয়ের ভয়ে সিপিআইএম অজুহাত দিচ্ছে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানোতোর।
রতুয়া ১ নম্বর ব্লক সিপিআইএম নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ভোট খুব সুন্দর ভাবে হচ্ছিল। হেরে যাবে বুঝতে পেরে তৃণমূল সন্ত্রাস করেছে। আমাদের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। সিপিআইএম এর পোলিং এজেন্ট শেখ মিঠু বলেন, জেলা সভাপতির ঘনিষ্টদে নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা এসে আমাদের মারধর করে বের করে দেয়। পুলিশের সামনে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। একজন শিক্ষককে পর্যন্ত বেধড়ক মারধর করেছে। সিপিআইএম প্রার্থী মান্নু সাবজি বলেন, পুলিশ প্রশাসন থাকা সত্ত্বেও সব ছাপ্পা মেরে চলে গেল। আমরা বলার পরেও পুলিশ কর্ণপাত করেনি।
রবিউল চৌধুরী নামে এক সাধারণ ভোটার ভোট দিতে এসে ঘুরে যান। তিনি বলেন," ভোট দিতে আসলাম বলল ভোট হয়ে গেছে আর হবেনা।
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রতুয়া ১ নং ব্লক সভাপতি অজয় সিনহা। তিনি বলেন,কোথাও কোনো অশান্তি হয়নি। নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয়েছে। হেরে যাওয়ার ভয়ে অজুহাত দিচ্ছে বিরোধীরা।
আর কয়েক মাস পরেই পঞ্চায়েত ভোট। মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে যে ভাবে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ভোটে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সহবাসের নেশায় ফেসবুক 'বান্ধবীর' সঙ্গে প্রেম? বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্না প্রেমিকার
'নতুন তৃণমূল'এ কি ব্রাত্য পুরনোরা? উত্তরবঙ্গ থেকে সব জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পর্ক থেকে শুরু করে প্রকৃতির বুনন ফুটে উঠে টালা বারোয়ারির মণ্ডপে, সনাতনী রূপে বিরাজ করবেন দেবী