সংক্ষিপ্ত

যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, যাঁরা মানবতায় বিশ্বাস করেন, তাঁরা অবশ্যই এই সিনেমাটি দেখবেন। দ্য কাশ্মীর ফাইলস দেখে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এমনই মন্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের।

নব্বইয়ের দশকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি পন্ডিতদের নির্বাসনের উপর তৈরি করা 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' (The Kashmir Files) ফিল্মটি সকলের দেখা উচিত। যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, যাঁরা মানবতায় বিশ্বাস করেন, তাঁরা অবশ্যই এই সিনেমাটি দেখবেন। দ্য কাশ্মীর ফাইলস দেখে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এমনই মন্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। তাহলে কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ছবিটি দেখার পরামর্শ দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল। 

ধনকড় বলেন আমি কাউকে কোনও কিছুর জন্য পরামর্শ দিই না। যদি কারোর মনে হয় সিনেমাটি দেখা উচিত, তবে অবশ্যই দেখবেন। কিন্তু যারা এই দেশের ওপর ভরসা করেন, দেশের মাটিকে বিশ্বাস করেন, তারা অবশ্যই সিনেমাটি দেখবেন বলে তাঁর ধারণা। তাহলে কি পরোক্ষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঠুকলেন ধনকড়? কারণ এখনও দ্য কাশ্মীর ফাইলস দেখেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাই সেই কারণকে হাতিয়ার করেই গণতন্ত্রের ওপর বিশ্বাসের প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করেন রাজ্যপাল। 

এদিকে, প্রায় ৩০ বছর আগের কাশ্মীরি পন্ডিতদের দুর্দশার কাহিনি দেখে হৃদয় ভিজেছে দর্শক মহলের। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীকে নিজেদের দ্যূত হিসাবে দেখতে শুরু করেছেন কাশ্মীরি পন্ডিত পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের মতে, 'এতদিন তাঁদের ইতিহাস চেপে রাখা হয়েছিল। তাঁদের হয়ে বলার মত কেউ ছিল না। আজ এই কঠিন সত্যগুলো সকলের সামনে আসায় তাঁরা একটু হলেও মানসিক শান্তি পেয়েছেন।' 

মুক্তির প্রায় চতুর্থ সপ্তাহে পৌঁছে বিবেক অগ্নিহোত্রীর দ্য কাশ্মীর ফাইলসের বক্স অফিস কালেকশন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। ছবিতে মুখ্য চরিত্রগুলির মধ্যে রয়েছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, পল্লবী যোশী, দর্শন কুমার এবং আরও অনেকে। কাশ্মীর যেই স্থান স্বর্গ ভূমি বলেই পরিচিত সেখানে কীভাবে অসংখ্য কাশ্মীরি পন্ডিত পরিবার নারকীয় হত্যালীলার সম্মুখীন হয়েছিল সেই কাহিনীই সিনেমার পর্দায় তুলে ধরেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।