সংক্ষিপ্ত

শনিবার সকাল থেকেই পুরভোট শুরুর পর থেকেই নানা ইস্যুতে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি প্রার্থীরা।  তবে দিনের শেষে কার্যত বিজেপির সব অভিযোগই ওড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

 

শনিবার সকাল থেকেই পুরভোট শুরুর পর থেকেই নানা ইস্যুতে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি প্রার্থীরা (BJP) । কোথাও প্রার্থীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ । আবার কোথাও ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি কর্মীরা। তবে দিনের শেষে কার্যত বিজেপির সব অভিযোগই ওড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

পুরভোটের মাঝেই এদিন ফিরহাদ বলেন, 'বিজেপি প্রার্থীরা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছে। ওরা উত্তেজনা করছে এবং ওরাই চার জনকে নিয়ে বুথে ঢুকছে', বলে অভিযোগ তোলেন এদিন রাজ্যের মন্ত্রী। এরপর বরাবরের মতোই এদিনও বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। ফিরহাদ বলেন, নাচতে না জানলে উঠোন বেকা। কিছু কিছু জায়গা বিজেপি প্রার্থীরা নাটক করছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছে সবাই। মানুষ নিজের গণতান্ত্রিকভাবে তাঁদের অধিকার প্রয়োগ করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পুলিশকে কড়া পদেক্ষেপ  নিতে বলেছেন।  রিগিং করার অভিযোগ উঠেছে । জিতেন তিওয়ারি নিজে পরিস্থিতি উত্তেজনা সৃষ্টি করতে গেছে। পুলিশের কাজ প্রার্থী করতে পারে না। তাকে পুলিশকে বলতে হবে বলে সাবধান করে দেন এদিন ফিরহাদ।

এদিন ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, 'বিজেপি যতই দেখাক, শান্তিপূর্ণ ভোট হবে মানুষ ভোট দেবে', বলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী।  এদিন তিনি আরও বলেছেন, 'শাসক শিবির চার পুরভোট শান্তিপূর্ন দাবি করলেও। মানতে নারাজ বামফ্রন্ট। তাঁদের কথায় চার পুরভোটে অবাধে চলেছে ভোট লুঠ। কোথাও ভয় ভীতি প্রদর্শন পাশপাশি শাসকের নির্দেশে অবাধ বহিরাগত প্রবেশ ঘটেছে। বিষয়গুলি কমিশনের নজরে আনা হয়েছে। তাই বামফ্রন্টের দাবি জানানো হয়েছে, বাকি সময়ে যেটুকু ভোট দান হবে তাঁর জন্য কমিশন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।'

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকেই পুরভোট শুরু হতেই একের পর এক অভিযোগ এসেছে মূলত বেশি বিধাননগর এবং আসানসোল ঘিরে। এর মধ্য়ে আসানসোলে পুরভোট চলাকালীনই পুলিশের গাড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর স্টিকার লাগানো রয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। আসানসোলের ৫১ নং ওয়ার্ডে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে বলে অভিয়োগ।চেলিডাঙ্গায় একটি পুলিশের গাড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর স্টিকার লাগানো থাকতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি শাসকদল। তবে ভোট শুরু হওয়ার পর সময় যতো এগিয়ে চলেছে, ততই বিক্ষোভ-অভিযোগের খবর মিলছে। আসানসোলের ২৭ নং ওয়ার্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। বিজেপি প্রার্থীকে বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলে অভিযোগ।

তবে এখানেই শেষ নয়, এদিন সাতসকালেই আসানসোল পুরভোটের মাঝে গন্ডোগোল তৈরি করার অভিযোগে দুই বিজেপি প্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ (Police)। তাঁরা হলেন ২০ নং ওয়ার্ডের শুভাশিস দাস এবং ২২ নং ওয়ার্ডের বিশ্বজিৎ মন্ডল। জানা গিয়েছে, আসানসোলের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে বহিরাগতদের রাখা হয়েছে , অভিযোগ তুলে ওই দুই বিজেপি  প্রার্থী বিক্ষোভ (Agitation) দেখান। তবে দুপুরে আসানসোলে বুথ দখলের জন্য গুলি চালানোরও অভিযোগও ওঠে। অপরদিকে, লাগাতার অভিযোগে এদিন উত্তাল বিধাননগর।সল্টলেকের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে বুথের ভিতরেই তৃণমূল প্রার্থী এবং বিজেপি প্রার্থীর  মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় বলে অভিযোগ। বাদ যায়নি চন্দননগরও।