সংক্ষিপ্ত
রামপুরহাটের বগটুইহত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য বাতাসপুরে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম।
রামপুরহাটের বগটুইহত্যাকাণ্ডে (Birbhum Rampurhat Violence) নিহতদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য বাতাসপুরে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম। ইতিমধ্য়েই বগটুই হত্যাকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এদিকে ইতিমধ্যেই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বগটুইহত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা দিতে হবে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর এক সপ্তাহ পেরোয়নি। এখনও সেখানের মানুষের চোখে মুখে আতঙ্ক। অগ্নিকাণ্ডের পর নিহতদের পরিবারের অনেকেই এখনও বেশ অসুস্থ। তাই এবার তাঁদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম ( Five member Medical team )।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ওই পরিবারের জীবিত বাসিন্দারা আশ্রয় নেন বীরভূমের সাঁইথিয়ার বাতাসপুর গোপালজোল গ্রামে। ইতিমধ্যেই তাদের সমস্ত রকম সহযোগিতার জন্য জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মাঝে রবিবার ওই পরিবারের এক সদস্য অসুস্থতা বোধ করলে আমোদপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। তার চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসা করার পর চিকিৎসক জানান, তার বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন রক্তচাপ সহ একাধিক রোগ। চিকিৎসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকের।
আরও পড়ুন, 'বীরভূমের জেলা পুলিশ আধিকারিকদের কললিস্টও চেক করা উচিত সিবিআইয়ের', বিস্ফোরক সুকান্ত
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্য়েই সিবিআই-র একের পর এক এফআইআর দায়েরের পর ঘটনার সম্বন্ধে ধারণা বদলানো শুরু হয়েছে। এদিকে ধোপে টেকেনি অনুব্রত শর্ট সার্কিট তত্বও। এবার কথা হচ্ছে, কী থেকে আগুন লেগেছে, তা জানা গেলেই সেদিন বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের সময় বাতাষে ঠিক কতটা বিষ বাস্প ছিল তা বোঝা যাবে। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থলে পৌছে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে সিবিআই-র ফরেন্সিক টিম। অগ্নিকাণ্ডের সময় বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ তো কমে যাওয়ায়, ওই বিষাক্ত কালো ধোঁয়াও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের শরীরে প্রভাব ফেলেছে। উল্লেখ্য, সাধারণত দাউদাউ আগুনের ভিতরে তৈরি হওয়া ঘটনা কালো ধোঁয়ায় উপস্থিতি কার্বন ডাই অক্সাইড, এবং কার্বন মনোক্সোইড থাকে। যা রীতিমত মানব শরীরের ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকারক। আতঙ্ক তো বটেই, সবমিলিয়ে উচ্চরক্তচাপও তৈরি করে।
শনিবার এবং রবিবার রামপুরহাটের ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরেই থানা থেকে সকল নথি নেন তাঁরা। সেইসময় রামপুরহাট থানায় ছিলেন অখিলেশ সিংহ-সহ তাঁর দলবল। এদিন বগটুই গ্রামে এসে সোজা অগ্নিদগ্ধ বাড়িতে যায় সিবিআই। বাড়ির পিছনে কোলাপসিবল গেটও ভাঙার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সেটাও খতিয়ে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। ওই বাড়ির ছাদের উপরেও উঠে পড়ে সিবিআই। কোথায় আগুন ধরানো হয়েছিল, কোথায় দেহগুলি বুঝেছিল সেগুলি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করে তদন্তকারীর দল।