সংক্ষিপ্ত
বগটুই হত্যাকাণ্ডে স্বজনহারাদের জিজ্ঞাদাবাদ করতেই সিবিআই-র হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনায় রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে সাসপেন্ড হওয়া ত্রিদিব প্রামাণিককেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই।
বগটুই হত্যাকাণ্ডে স্বজনহারাদের জিজ্ঞাদাবাদ করতেই সিবিআই-র হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। উল্লেখ্য, বগটুই হত্যাকাণ্ডে স্বজনহারাদের বয়ানের উপর গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ঘটনায় রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে সাসপেন্ড হওয়া ত্রিদিব প্রামাণিককেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। এছাড়া মিহিলাল এবং শেখলালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় তদন্তকারীর দল। আর এরপরেই মোবাইলের ছবি-র মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-র হাতে।
বীরভূম বগটুই হত্যাকাণ্ডে প্রথমে মিহিলালের বয়ান রেকর্ড করা হয় রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে। এরপর তাঁকে কুমাড্ডা গ্রামে নিয়ে গিয়ে শেখলালের মুখোমুখি জেরা করা হয়। উল্লেখ্যে, এর আগে সোমবারই শেখলালের স্ত্রী নাজমা বিবির। অপরদিকে, ঘটনার পরেই শেখলাল বগটুই ছেড়ে কুমাড্ডা গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেন। আপাতত সেখানেই আছেন তিনি। শেখলাল এদিন সিবিআই তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেন, তাঁর হাতে তোলা কিছু ছবি। শেখলালের দাবি, ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, তাঁর বাড়ি পুড়ছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, যদিও মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন, 'রামপুরহাট থানার আইসি ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকা ঠিক ছিল না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।'
অপরদিকে এই ঘটনায় ধৃত আনরুল হোসেন দাবি করেছিল, মৃত তৃণমূল উপপ্রধানকে নিয়ে প্রথমে তিনি হাসপাতালে যান। পরে তিনি থানায় যান। তাঁর বক্তব্যও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আনারুলের কথা অনুযায়ী, ভাদু শেখ খুনের পরেই খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি সেখানে বার বার শান্তির বার্তা দেন। কিন্তু রাত গড়াতেই গ্রামে অশান্তি নেমে আসে। হত্যালীলা পরিণত হয় গ্রামে। মৃত্যু হয় ৮ জনের। তবে মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, 'ব্লক সভাপতি আনারুলের নির্দেশেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামে। ভাদু খুনের আসামিরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যালীলা চালিয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।'
এদিকে এরপর মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌছেই তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অবিলম্বে আনারুলকে গ্রেফতার করতে হবে। হয় আনারুল আত্মসমর্পণ করুক, নতুবা যেখান থেকে হোক, আনারুলকে গ্রেফতার করা হোক।' তবে আনারুল তো গ্রেফতার হয়েছে, এরপরেই তৃণমূলের নিন্দায় বিজেপি। তাঁদের দাবি রাঘববোয়ালদের ধরতেই চুনোপুটিদের গ্রেফতার করাচ্ছে মমতার সরকার।তবে এই ঘটনায় যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীর দল।এর পাশপাশি রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে সাসপেন্ড হওয়া ত্রিদিব প্রামাণিককেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। যদি অভিযোগ উঠেছে, আনারুল পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেয়। এই অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।