সংক্ষিপ্ত
- ২০০০ সালের চিঠি পৌঁছল ২০১৯-এ
- মেসেজ পেয়ে হতবাক প্রেরক
- প্রতিক্রিয়া নেই ডাকঘরের
- আগেও হয়েছে, বললেন প্রেরক
পাঠাতে চেয়েছিলেন দ্রুত, কিন্তু চিঠি পৌঁছেছে অতি মন্থর গতিতে। যা দেখে ডাক বিভাগের স্পিড পোস্টকে লেট পোস্ট বলছেন সবাই।
এ যেন খরগোশের পিঠে পাঠাতে গিয়ে কচ্ছপের ঘারে চাপা। ১৯ বছর আগে স্পিড পোস্টে চিঠি পাঠিয়ে খবর পেলেন সবে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হবার জোগার রায়গঞ্জের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী তুহিন চন্দ্র চন্দের। গত ১১সেপ্টেম্বর ভারতীয় ডাক বিভাগ থেকে মেসেজ পেয়েছেন তিনি। তাতে জানানো হয়েছে, স্পিড পোস্টে আপনার চিঠি পৌঁছেছে। তুহিনবাবুর দাবি ২০০০ সালে স্পিড পোস্টে পাঠানো জরুরি চিঠি পৌঁছেছে ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। এদিনই তিনি রায়গঞ্জ মুখ্য ডাকঘর থেকে ডেলিভারি সংক্রান্ত নোটিফিকেশন পেয়েছেন। গোটা ঘটনায় হতবাক তিনি। তবে অভিযোগ জানালে কোনও কর্মচারীর চাকরি যেতে পারে এই আশঙ্কায় কোনও অভিযোগও জানাননি তিনি।
বিজ্ঞাপনের নামে গাছের বুকে ক্ষত, রুখতে পথে নামল 'আকাশ', দেখুন ভিডিও
পক্ষীকূল বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ,অপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে কৃত্রিম বাসা বানিয়ে তাক লাগালেন ব্য়ক্তি
একদিন বা দুদিন বাদে ডেলিভারি হওয়ার কথা বলেই শুরু হয়েছিল ভারতীয় ডাক বিভাগের স্পিড পোস্ট। কিন্তু স্পিড পোস্টের এহেন কর্মকাণ্ডে হতবাক হয়েছেন রায়গঞ্জের বাসিন্দারা। ডাক বিভাগের এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ মূল ডাকঘরে। রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুর এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী তথা সাহিত্যিক তুহিন চন্দ্র চন্দ ২০০০ সালের একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি রায়গঞ্জ মুখ্য ডাকঘরের মাধ্যমে স্পিড পোস্টে পোস্ট করেছিলেন। ১৯ বছর পর তাঁর সেই নথি ডেলিভারি হয়েছে বলে বুধবার তাঁকে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হয়। তাতে লেখা রয়েছে ১১/০৯/১৯ তারিখে তাঁর নথি ডেলিভারি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই ডাক বিভাগের,এমন ধরনের উদাসীনতায় হতবাক হয়েছেন তুহিনবাবু।
নিমেষে উধাও বিনামূল্যের কন্ডোম, শিলিগুড়ির হাসপাতালে ফাঁকাই পড়ে বাক্স
রাজ্যে এক কোটি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী,দাবি দিলীপের
ডাক বিভাগের মেসেজ নতুন করে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তাঁর মনে। আজ তিনি মনে করতে পারছেন না কাকে কী পাঠিয়েছেন। তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও ডাক বিভাগের এরকম উদাসীনতার তিনি শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সেবারও বুক ফাটলেও মুখ ফোটেনি। কারণটা সেই একই । আজও অন্য়ের চাকরি যাওয়ার আতঙ্কে নিজের চিন্তা করেন না তুহিনবাবুরা।