সংক্ষিপ্ত
সরস্বতী পুজোর দিনে অকাল বিশ্বকর্মা পুজোয় মাতল পুরুলিয়ার ঝালদা শহর। যখন রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাড়ায় পাড়ায় ক্লাবে চলছে বাগদেবীর আরাধনা তখন ঝালদা শহরে ধুমধাম করে আয়োজিত হল সৃষ্টি কর্তা বিশ্বকর্মার আরাধনা।
সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja 2022) দিনে অকাল বিশ্বকর্মা পুজোয় মাতল পুরুলিয়ার ঝালদা শহর। বসন্ত পঞ্চমীর দিন গত ২২ বছর ধরে বিশ্বকর্মার পুজো করে আসছেন ঝালদা আনন্দ বাজার সূত্রধর বিশ্ব কর্মা পুজো কমিটি। যখন রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাড়ায় পাড়ায় ক্লাবে চলছে বাগদেবীর আরাধনা তখন ঝালদা শহরে ধুমধাম করে আয়োজিত হল সৃষ্টি কর্তা বিশ্বকর্মার আরাধনা।
বিশ্বকর্মা পুজোর উদ্যোক্তা তথা সূত্রধর পরিবারের সদস্যরা জানান, সূত্রধরদের বংশ-পরম্পরা গত পেশা মূর্তি তৈরি করা। ভাদ্র মাসে যখন বিশ্বকর্মা পুজো অনুষ্ঠিত হয় সেসময় দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে জেলা এবং রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হয়। সেই সময় মূর্তি তৈরির ব্যস্ততার জন্য ভাদ্র মাসের নিজেদের কুলদেবতা বিশ্বকর্মার পুজো করারও ফুরসৎ পাওয়া যায়না। বসন্ত পঞ্চমী বা সরস্বতী পুজোর সময় তুলনামূলকভাবে মূর্তি তৈরির চাপ কম থাকায় সরস্বতী পুজোর দিনটিকেই সূত্রধররা তাঁদের কুলদেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনা করে থাকেন।
আরও পড়ুন, Saraswati Puja 2022 সরস্বতী পুজোয় মাতলেন সৌরভ-রত্না-মদনরা, বাগদেবীর আরধনায় শহর কলকাতা
কয়েকশো বছর আগে থেকে পূর্বপুরুষদের তৈরি করা এই নিয়ম আজও চলে আসছে।পূজো উদ্যোক্তাদের পক্ষে রঞ্জিত সূত্রধর, মথুর সূত্রধর, গিরিধারী সূত্রধররা জানান, 'পূর্বপুরুষ ধরে সরস্বতী পুজোর দিনে আমাদের আরাধ্য কুল দেবতা বিশ্বকর্মা পুজো করে থাকি। যে সময় বিশ্বকর্মা পূজা হয় সে সময় দুর্গা প্রতিমা গড়ার খুব বেশি চাপ থাকায় সেসময় বিশ্বকর্মা পুজো করা হয় না।তাই মাঘ মাসের বসন্ত পঞ্চমীর দিনটিকেই আমরা আমাদের আরাধ্য দেবতা বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য ঠিক করেছি। পূর্বপুরুষরা বহু বছর আগে যে নিয়ম করে গেছেন সেই নিয়ম আজও লাগু রয়েছে।' ঝালদা আনন্দবাজার সূত্রধর বিশ্বকর্মা পুজো কমিটি ২২বছর ধরে ধুমধাম করে সরস্বতী পুজোর দিন বিশ্বকর্মা পুজো করে এলেও এবছর কোভিডের কারণে সেভাবে জাঁকজমক করে পুজো হচ্ছে না। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে আয়োজিত হচ্ছে বিশ্বকর্মা পুজো।
এবিষয়ে কমিটির গিরিধারী সূত্রধর ও মথুর সূত্রধর ۔ রণজিৎ সূত্রধর জানান, 'আমরা পূর্বপুরুষ ধরে এই মাঘমাসের সরস্বতী পূজার দিনেই বিশ্বকর্মা পূজা করি কারণ ভাদ্র মাসে সকলেই মাটির কাজে জেলার বাহিরে দূর্গা প্রতিমা গড়তে যাই সকলেই ব্যস্ত থাকে। তাই এই সময় আমরা আমাদের কুলদেবতার পূজা করি। এই পুজো এবৎসর ২২ বৎসরে পদার্পন পূর্বে প্যান্ডেল করে হতো। এই পূজা শুধুমাত্র ঝালদা আনন্দ বাজার সূত্রধর কমিটির যেখানে সূত্রধর পরিবার মিলিত ভাবে করে আসছে। তবে পুজো এলাকার তথা ঝালদা শহরের সকলেই পুজো দেন। এবার সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই শুধু পুজোটা হচ্ছে। তবে করোনার কারণে কোনও অনুষ্ঠান এবছর হচ্ছে না।'