সংক্ষিপ্ত

  • হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যু 
  • বাড়ির কাছে বন্ধ দোকানে মিলল ঝুলন্ত দেহ
  • পরিকল্পনামাফিক খুনের অভিযোগ গেরুয়াশিবিরের
  • দাবি উঠেছে সিবিআই তদন্তের

কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ:  পুরভোটের আগে কি 'মাওবাদী কায়দা'য় কি খুন হয়ে গেলেন? বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুতে সিপিএম ও তৃণমূলের দিকে অভিযোগ আঙুল তুলেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দাবি উঠেছে সিবিআই তদন্তেরও।  বিধায়ককে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম ও তৃণমূল। রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উত্তর দিনাজপুরে।

আরও পড়ুন: 'একটু আসছি' - এই ছিল নিহত বিজেপি বিধায়কের শেষ কথা, গভীর রাতে হানা দিয়েছিল রহস্যময় বাইক

একসময়ে প্রধান ছিলেন স্থানীয় বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের। এলাকায় সিপিএমের দীর্ঘদিনের লড়াকু নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন দেবেন্দ্র রায়। ২০১৬ সালে বাম প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেসের সমর্থনে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ বিধানসভাকেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে বিধানসভা ভোটের আগে আচমকাই সিপিএমে ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। 

সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কাছেই একটি বন্ধ দোকান থেকে বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকেদের দাবি, রবিবার সন্ধ্যেয় স্থানীয় বালিয়া মোড় এলাকায় একটি চায়ের দোকানে স্থানীয়দের সঙ্গে গল্পগুজব করছিলেন তিনি।  বাড়ি ফিরেছিলেন রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ। এরপর রাত একটা নাগাদ কেউ বা কারা বিধায়ককে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরিকল্পনামাফিক খুনের অভিযোগ করেছেন নিহত বিধায়কের পরিবারের লোকেরা। 

আরও পড়ুন: চিনা ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ 'জুম' এর বিকল্প, 'দৃষ্টি'বানিয়ে তাক লাগালো ঘাটালের যুবক

বিধায়ককে 'বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন' কারা করল? বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ রায়। নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করার জন্য তাঁকে পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে তৃণমূল। এমনকী,  একসময়ে যে দলের নেতা ছিলেন নিহত বিধায়ক, সেই সিপিএম-কেও সন্দেহের বাইরে রাখেননি তিনি। সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দেওয়ার দাবি তুলেছে গেরুয়াশিবির। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়াল  আগরওয়ালের পাল্টা প্রশ্ন, রাত একটার সময়ে যদি বাইরের লোকে বিধায়ককে ডেকে নিয়ে যায়, তাহলে পরিবারের লোকেরা কেন পুলিশে খবর দিলেন না? ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য় মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সিপিএম-র জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালও।