সংক্ষিপ্ত
- বনগাঁ পুরসভাও বিজেপি-র দখলে এল
- তৃণমূলের ১২ কাউন্সিলর বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন
- বিজেপি-তে যাচ্ছেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়কও
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করছেন, তখনই তৃণমূলের হাত থেকে আরো একটি পুরসভা দখল করা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল বিজেপি। এবার বনগাঁ পুরসভাও দখল করতে চলেছে বিজেপি।
একই সঙ্গে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও বিজেপি-তে যোগ দিলেন। ফলে বনগাঁয় জোড়া ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল। বনগাঁ পুরসভায় মোট বাইশটি আসন রয়েছে। এ দিন দিল্লিতে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে বনগাঁ পুরসভার বারোজন কাউন্সিলর বিজেপি-তে যোগ দেন।
সোমবারই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিংহ। তাঁর সঙ্গেই বিজেপি-তে যোগ দেন গারুলিয়া পুরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলর। ফলে ওই পুরসভাটিও হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। ভাটপাড়া, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি, দার্জিলিং, গারুলিয়ার পরে বনগাঁ পুরসভাও বিজেপি-র দখলে আসতে চলেছে।
কয়েকদিন আগেই বনগাঁর বর্তমান পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন শাসক দলের কাউন্সিলররা। তখন অবশ্য তাঁরা দাবি করেছিলেন, তাঁরা তৃণমূলেই থাকছেন। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যেই অধিকাংশ কাউন্সিলর শিবির বদল করে ফেললেন।
তবে দলে ভাঙন নিয়ে যে তিনি ভাবিত নন, এ দিনও নজরুল মঞ্চের বৈঠকে তা স্পষ্ট করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বরং তিনি বলেন, যাঁরা দল ছাড়তে চান, তাঁরা এখনই ছাড়ুন। যে পুরসভাগুলি বিজেপি দখল করছে, ভোট হলে সেখানেও তৃণমূল জিতবে বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।