সংক্ষিপ্ত
বাগটুইয়ে ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার তদন্ত করেছে বিজেপির। বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল সেই রিপোর্ট পেশ করেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। তাতে বলা হয়েছে বীরভূমকাণ্ডের পুরো দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বীরভূমের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পুরো দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে গোটা বাংলা জুড়ে মাফিয়া রাজ চলছে। রাজ্যের আইনশৃ্ঙ্খলা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল বা তথ্য অনুসন্ধানকারী দল গত সপ্তাহে বীরভূমে ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করেছে। এই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হাতেও। সূত্রের খবর এই রিপোর্টে নাম রয়েছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভারতি অনুব্রত মণ্ডলের। তার জন্যই এই নির্মম গণহত্যা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
বাগটুই গ্রামের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত রিপোর্টে বলা হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তোলাবাজী, জুলুমবাজি, জোর করে টাকা আদায় করা হয়ে এই রাজ্যে। তারই ভয়ঙ্কর পরিণতি হল বাগটুই গ্রাম। রিপোর্টে বলা হয়েছে শাসকদলের নেতারা এই রাজ্যে ইচ্ছেমত টাকা তোলে। সুবিধেভোগীদের মধ্যে ঘুষের পরিমাণ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতার কারণেই বাগটুইয়ের নির্মম পরিণতি হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে শাসকদলের জুলুমের কারণে অনেক স্থানীয় বাসিন্দাই নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে চলে গেছে। রিপোর্ট মহিলা কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মত সংস্থাগুলিকে গ্রাম পরিদর্শন ও গ্রামবাসীদের দ্রুত গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিজেপির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে দলের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনার পরই বাগটুই গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিল। কিন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনী প্রতিনিধি দলের সদস্যদের গ্রামে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছিল। তৃণমূল বাহিনী বাধা দেওয়ার সময় গ্রামে কোনও পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে আসেনি- বলেও দাবি করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বর্তমানে দার্জিলিং সফরে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি বলেন বিজেপির এই রিপোর্ট সিবিআই তদন্ত প্রভাবিত করতে পারে। এগুলি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। বাগটুইকাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই। তাই এই ঘটনায় এখন কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয় বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো।
গত সপ্তাতেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভাদু শেখকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়। তারপরই দুষ্কৃতীরা বীরভূমের বাগটুই গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয় শিশু, মহিলাসহ আট জনকে। এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা তৈরি হয় গোটা গ্রামে। যা রাজ্যরাজনীতিতেই প্রভাব বিস্তার করে। বিরোধীদের দাবি গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ের ভয়ঙ্কর পরিণতি হল বাগুটুইহত্যাকাণ্ড।
প্রথমে রাজ্যের তৈরি করা সিট এইঘটনার তদন্ত করছিল। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তে সিবিআই কর্তারা মনে করছেন বাগটুই গ্রামে গত মঙ্গলবার রাতে ৭০-৮০ জনের একটি দল হামলা চালিয়েছিল। প্রথমে গ্রামবাসীদের মারধর করা হয়। তারপর জীবন্ত অবস্থায পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গ্রামে। গোটা ঘটনা অত্যান্ত নৃশংস বলেও মনে করছেন সিবিআই কর্তারা।
শাহরুখের পাঠান বয়কটের ডাক, যোগীর একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বাড়ছে জল্পনা
শূন্য থেকে শুরু করে ক্ষমতার শীর্ষে রাজ সুব্রামানিয়াম, প্রবাসী ভারতীয়র হাতে গুরুদায়িত্ব ফেডএক্সের
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিধবা ভাতা- পাহাড়ে কল্পতরু মমতা, সতর্ক করলেন 'দিল্লির লাড্ডু' নিয়ে