সংক্ষিপ্ত

  • বিভিন্ন দাবিতে থানা ঘেরাও-এর ডাক বিজেপি-এর
  • কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আক্রান্ত গেরুয়াশিবিরের নেতা
  • ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে 'বেধড়ক মারধর' তৃণমূল কর্মীদের  
  • বীরভূমের ইলামবাজারের ঘটনা

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: কলকাতায় বিজেপি-এর নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন বীরভূমের থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আক্রান্ত হলেন দলের এক কর্মী। ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় পাঁচজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ব্যক্তি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

আরও পড়ুন: 'রাজ্য়পাল পঙ্গপাল', তৃণমূলের নামে পোস্টারকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে আলিপুরদুয়ারে

ঘটনার সূত্রপাত দিন দুয়েক আগে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভিযোগে বীরভূম জেলা জুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি-এর জেলা নেতৃত্ব। ইলামবাজারে দলের কর্মসূচিতে অংশ নেন স্থানীয় শির্সা অঞ্চলের শোলাগ্রাম এলাকার বিজেপি সহকারি বুথ সভাপতি শেখ জসিমও। গেরুয়াশিবিরের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার যখন পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন শেখ জসিম-কে মারধর করেন জনা পাঁচেক তৃণমূল কর্মী। পালানোর চেষ্টা করলে ল্যাম্পপোস্টে ফের একপ্রস্ত মারধর করা হয়।  শেষপর্যন্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্তকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে ভর্তি তিনি।

আরও পড়ুন: কর্মিসভায় মেজাজ সপ্তমে, কৃষিমন্ত্রীকে 'অপদার্থ' বলে কটাক্ষ অনুব্রতের

বিজেপি সহকারী বুথ সভাপতি শেখ জসিম বলেন,  'তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি শেখ বাবুলের নেতৃত্বে আমাকে  মারধর করা হয়। ওদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ছিল। ওরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছিল। আমার অপরাধ আমি বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলাম।'  বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, 'ওদের পায়ের নিচে মাটি সরে গিয়েছে। এখন বিজেপি কর্মীদের ধমকে চমকে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা যত সন্ত্রাস করবে তত মানুষ ওদের থেকে সরে যাবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।'