সংক্ষিপ্ত
- দলবদলের খেলা চলছে
- বিজেপি নেতা যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে
- এবার হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন তিনি
- ফের ফিরে এলেন বিজেপিতে
এ যেন মুকুল রায়ের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। মুকুল রায় যেমন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে ফের ফিরে এলেন তৃণমূলে। তেমনি ঘটনা ঘটলো মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। বিজেপি নেতা কিছুদিন আগে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে আবার ফিরে এলেন বিজেপিতে। বললেন যে ঘরে ছিলাম সেই ঘরেই ফিরে এলাম।
মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর বিধানসভায় প্রথমবারের মতো জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ভোটের ফলাফলের পর থেকেই হরিশ্চন্দ্রপুরে বিরোধী দলে ভাঙন ধরাচ্ছে শাসক শিবির। কখনো কংগ্রেস ছেড়ে আবার কখনো বিজেপি ছেড়ে নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছে তৃণমূলে। কিছুদিন আগে বিজেপির হরিশ্চন্দ্রপুরের যুব মোর্চার সভাপতি অভিজিৎ কর্মকার, হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায় বিজেপির কো-কনভেনার দীপক ঋষি, হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির দুই সদস্য সহ প্রায় ৩০০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ঘটা করে তাদের যোগদান করিয়ে ছিলেন মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান, জম্মু রহমান।
তৃণমূলে যোগদানকারীরা বলেছিলেন মানুষের জন্য কাজ করতে চাই তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম। কিন্তু কিছুদিন যেতেই মোহভঙ্গ। আবার বিজেপি তে ফিরে এলেন হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিজেপির কো-কনভেনার দীপক ঋষি। এইদিন হরিশ্চন্দ্রপুরে বিজেপির একটি দলীয় কর্মসূচি ছিল। সেখানে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু, বিজেপি জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল, মন্ডল সভাপতি সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। সেখানেই আবার বিজেপিতে ফিরে আসেন দীপক ঋষি।
এদিন তিনি যোগ দিয়ে বলেন বিজেপি আমার পরিবার তাই বিজেপিতে ফিরে এলাম। তৃণমূলে যাওয়া আমার ব্যক্তিগত ভুল ছিল। এদিকে এই দলবদল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সাংসদের দাবি তৃণমূল প্রলোভন, ভয় দেখিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের তৃণমূলে যোগদান করাচ্ছে। এদিকে পাল্টা তৃণমূলের দাবি দীপক ঋষিকে চাপ দিয়ে বিজেপিতে ফেরানো হয়েছে। সাথে অভিযোগ করেছে দীপক ঋষি চাকরির জন্য টাকা তুলেছিল। তাই বিজেপি চাপ দিয়ে তাকে দলে ফিরিয়েছে।
বিজেপিতে যোগদানকারী দীপক ঋষি বলেন," আমাকে কেউ কোনো চাপ দেয়নি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমি বিজেপির সংগঠন সামলাচ্ছি। বিজেপি আমার পরিবার। তাই নিজের পরিবারে ফিরে এলাম। তৃণমূলে যাওয়াটা ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভুল ছিল। হঠকারিতার বশে এরকম ভুল হয়ে গেছিল।"
উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন," আজ আমাদের এখানে দুটি মন্ডলের বৈঠক ছিল। সেখানেই আমাদের বিধানসভার কো-কনভেনার আবার দলে ফিরে এলেন। ভুল বুঝে হোক বা যেভাবে হোক কিছুদিন আগে তৃণমূল তাকে ওদের দলে নিয়ে গেছিলো। কিন্তু সে তার ভুল বুঝতে পেরে আবার বিজেপিতে আজ ফিরে এলো। বিজেপিতে কোন ভাঙ্গন নেই। তৃণমূল ভয় দেখিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপিতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে।"
তৃণমূল অঞ্চল চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা বলেন," শুনলাম আজ দীপক ঋষি আবার বিজেপিতে ফিরে গেল। যদিও এতে তৃণমূলের কোন ক্ষতি হবে না। আমাদের দল এখন খুব ভালো জায়গায় রয়েছে।" সাংসদের অভিযোগের পাল্টা তিনি বলেন," বড় বড় নেতা বিধায়করা লাইন দিচ্ছে তৃণমূলে যোগদানের জন্য। কারণ সকলে মমতা ব্যানার্জির কাজে অনুপ্রাণিত। তৃণমূল ভয় দেখিয়ে যোগদান করায় না। আর দীপক ঋষি রেলের চাকরির জন্য টাকা তুলে রেখেছিল। তাই তাকে চাপ দিয়ে আবার বিজেপিতে ফেরানো হয়েছে।"