সংক্ষিপ্ত

ধারালো অস্ত্র নিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার দিলীপ ঘোষের সহকারী। গ্রেফতার করে খড়গপুর টাউন পুলিশ। 

২০১৮ সালের ২৫ মার্চ খড়গপুর মহাবলি আখড়া সেভেন স্টার ক্লাব একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। যেখানে স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ (BJP Leader Dilip Ghosh)। সেই দিন খড়গপুর টাউন পুলিশের (Kharagpur Town Police) পক্ষ থেকে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয় দিলীপ ঘোষ এবং ক্লাবের প্রভাবশালী ব্যক্তি চরনজিত সিংয়ের নেতৃত্বে চলা এই অনুষ্ঠানে ধারালো বেআইনি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। IPC 153AA, 34, এবং Arms act 25(i) (a), 27 ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলায় ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর চরণজিত সিং আদালতে আত্মসমর্পণ করে পায় নেয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি বেল নেন দিলীপ ঘোষ। এদিকে এই  ঘটনায় সেই সময় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। এমনকী ঘটনার নেপথ্য কারণ হিসাবে উঠে আসে আরও নানা তথ্য। 
 তবে চরণজীত বাবুর ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর পরবর্তী কোর্টে হাজিরার দিন থাকলেও তিনি অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি বলে তার আইনজীবীর দাবি। এরপরই তার নামে হুলিয়া জারি করে আদালত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল তার বাড়ি থেকে চরণজিত সিংকে গ্রেফতার করে খরগপুর টাউন পুলিশ। আজ তাকে বিধাননগরের এম পি এম এল এ কোর্টে তোলা হলে আদালত তাকে ২ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে বলে জানা যায়। যদিও এবার ফের আরও একবার এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পদ্ম শিবিরের অন্দরে। অন্যদিকে শনিবার পুরসভা নির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে বিধাননগর পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।  বাধার মুখে পড়েন  বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে এদিন সকালেই পুলিশের সঙ্গে বচসাও বেঁধে যায় দিলীপের। 
আরও পড়ুন-পুরভোটের আগে উত্তাল বিধাননগর, বিধি ভঙ্গের অভিযোগে দিলীপের 'প্রচারে' বাধা 
আরও পড়ুন- ‘সন্ধ্যাদেবীকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি চলছে’, বলছেন দিলীপ ঘোষ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। এমতাবস্থায় শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রস্তুতিতে জোর দিচ্ছে শাসক বিরোধী সব পক্ষই।  এমতাবস্থায় এদিন বিধাননগর পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে যান দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তিনি কোভিড–বিধি না মানায় পুলিশ তাঁকে প্রচারে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। যদিও দিলীপ ঘোষের দাবি , ‘‌পুলিশ ইচ্ছে করে বাধা দিচ্ছে। পুরসভা নির্বাচনে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণতন্ত্র হরণ করা হচ্ছে।" এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেও এদিন সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে।