সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কাঁথি থেকে তমলুকের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন,সেই সময় মারিশদায় একটি ট্রাক বেপোরোয়া ভাবে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে ধাক্কা মারে।
অল্পের জন্য প্রানে রক্ষা পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্রাকের চালক সহ খালাসি পলাতক। বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়কের কনভয়ে কি করে দ্রুত গতিতে ট্রাক ঢুকলো এবং ধাক্কা মারলো তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কাঁথি থেকে তমলুকের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন,সেই সময় মারিশদায় একটি ট্রাক বেপোরোয়া ভাবে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে ধাক্কা মারে। তবে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও আপাতত সুস্থ রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের পেছনের গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক,তবে ট্রাকের চালক ও খালাসি দুজনেই পলাতক। নিছক দুর্ঘটনা না কি প্রান নাশের চেষ্টা তা তদন্ত করছে পুলিশ।
দুপুর দেড়টা নাগাদ কাঁথির বাড়ি থেকে তমলুক যাওয়ার পথে দুরমুটের কাছে শুভেন্দুর অধিকারীর কনভয় ঢুকে পড়ে ট্রাককিয তারপর ধাক্কা মারে তাঁর কনভয়ের গাড়িতে। প্রবল গতিতে ধাক্কা মারার কারণে দুমড়েমুচড়ে গেছে শুভেন্দুর গাড়ি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে কনভয়ের প্রথমে যে গাড়িটি ছিল সেটিতেই ট্রাকটি ধাক্কা মারে। গাড়িটি রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি কনভয়ের মাঝে ছিল। সেটির কোনও ক্ষতি হয়নি।
বেপরোয়া ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই ট্রাকের চালক আর খাসালি পলাতক। গাড়ির চালক ও খালাসীর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটে রেখে দিয়েই শুভেন্দু তাঁর গন্তব্যে রওনা দেন।
পরে শুভেন্দু সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর কনভয়ের সিআরপিএফ-এর একটি গাড়িতে বড় একটি গাড়ি ধাক্কা মারে। তাঁর কোনও ক্ষতি হয়নি। তিনি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
গতকালই নেতাই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন ডিজি আর ঝাড়গ্রামেপ এসপির বিরুদ্ধে। তাদের হাজিরা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নেতাই গণহত্যায় মৃতদের শ্রদ্ধা জানাতে গত ৮ জানুয়ারি ঝাড়গ্রামে গিয়েছিলেন। কিন্তু নেতাই ছিলে ২০ কিলোমিটার দূরেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হন শুভেন্দ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হয়েছিল। কারণ মামলাকারীর দাবি গত বছরই শুভেন্দুকে অধিকারীকে রাজ্যে যেকোনও প্রান্তে যেতে দেওয়া হবে এমন আশ্বাসবানী শুনিয়েছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। শুভেন্দুকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ও নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর নেতাইয়ে তার ঠিক উল্টোটাও হয়েছিব। সেই মামলাতেই রাজ্য পুলিশের প্রধান ও ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলও জারি করা হয়েছে।