সংক্ষিপ্ত
শুক্রবারই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়
আর শনিবারই বিজেপিতে বড় ভাঙনের ইঙ্গিত পাওয়া গেল
ইঙ্গিত দিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতা
শুধু তিনিই নন, আরও অনেকেই ফের দল বদলাতে প্রস্তুত
শুক্রবার বিধানসভা ভোটের পর বঙ্গ বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন ধরেছে বলা যায়। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন মুকুল। তবে একই সঙ্গে দল ভাঙানোয় তিনি সিদ্ধহস্ত। এর আগে যেমন তৃণমূল ভাঙিয়ে একের র এক নেতাকে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে, এখন একইভাবে কি উল্টো স্রোত দেখা যাবে? ধস নামবে বিজেপিতে? মুকুল ঘনিষ্ঠ দলবদলু বিজেপি নেতারা কিন্তু, সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছেন।
মুকুল রায় যেদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন, ঠিক সেইদিনই উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাগঠনিক বৈঠক ছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সেই বৈঠকে যোগ দেননি জেলার তিন বিধায়ক ও এক সাংসদ। এঁদের মধ্যে অন্যতম, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তিনিও মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। শনিবার তিনি কিন্তু সরাসরি দলে ভাঙনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিশ্বজিৎ বলেন, 'মুকুল রায় একটি বড় নাম। সহ-সভাপতি হিসাবে তিনি জেপি নাড্ডার পরেই দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। স্পষ্টতই, তিনি দেশের একজন বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। স্বভাবতই যখন এই জাতীয় কোনও নেতা দল ছেড়ে চলে যায়, তখন অবশ্যই তার একটা প্রভাব দলের উপর পড়ে'।
এখানেই থামেননি বিজেপি বিধায়ক। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপো তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বাভারতীয় সম্পাদক এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট 'সুসম্পর্ক' আছে বলে দাবি করেছেন তিনি। 'রাজনীতি এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক এক নয়' বলে দাবি করে বাগদার বিধায়ক বলেছেন, শীঘ্রই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এতেই বিজেপিতে ভাঙনের জল্পনা আরও বেড়েছে।
উত্তর চব্বিশ পরগনার কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা মুকুল রায়। এই জেলার তৃণমূল কংগ্রেস চলত তাঁরই হাত ধরে। এইসব নেতাদের অধিকাংশেরই মেন্টর তিনি, 'মুকুলদা'। যেমন নোয়াপাড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিং। ব্যারাকপুর বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং যতই মুকুল রায়কে বিশ্বাসঘাতক প্রমাণ করার চেষ্টা করুন না কেন, তাঁর আত্মীয় সুনীল সিং কিন্তু মুকুল রায়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করেছেন। ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি শনিবার বলেছেন, 'মুকুল রায় একজন বড় মাপের নেতা। তিনি বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এতে অবশ্যই আমাদের দলের (বিজেপি) ক্ষতি হবে। এটা সত্যি যে ২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে মুকুল রায়ের নেতৃত্বেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। ভবিষ্যতে কী হবে, জানি না। আমরা দেখব আগামী দিনে।'