সংক্ষিপ্ত

  • 'নির্ভয়া দিদির নিখোঁজের বিজ্ঞপ্তি'
  • সোশ্যালে নিশানা শ্রীরূপা মিত্রকে 
  • ইতিমধ্যে পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে 
  • তাই সরগরম মালদার রাজনীতি 


'নির্ভয়া দিদির নিখোঁজের বিজ্ঞপ্তি', শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে নিশানা করে ব্যাঙ্গার্থক পোস্টে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া।  ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক  শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে  মালদার রাজনীতি।  

আরও পড়ুন, 'বাচ্চা ছেলে', দিল্লিতে BJP-র কেন্দ্রীয় নের্তৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজ্যপালকে নিশানা মমতার  

 

 


 বিধানসভার ভোট মিটে যাওয়া প্রায় দু'মাস হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত দেখা মিলেনি ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক  শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর। আর তাঁকে ঘিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি সহ বিভিন্ন ধরনের হাস্যকৌতুক আকারে লেখা ছবি পোস্ট করে ভাইরাল করেছে। যাকে ঘিরে মালদার রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি বিজেপি বিধায়কের ছবি দিয়ে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি, আবার কোথাও উল্লেখ করা হয়েছে করোনার অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে দিল্লিতে বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। এমনকি ভাইরাল হওয়া এই সব পোস্টে বিধায়কের দিল্লি ঠিকানার একটি মোবাইল নম্বরও  সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছে। এই পোস্টকে ঘিরেই এখন রাজনৈতিক দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে নিয়ে চরম কটাক্ষ করেছে।

আরও পড়ুন, গাড়িতে ছিল নীল বাতি, হাতে ভারত সরকারের পরিচয় পত্র, তবে কেন হাজতে টানল রাজ্য পুলিশ 


উল্লেখ্য, এহেন দৃশ্য ভোটের আগেও একবার রাজ্যে ধরা পড়েছিল। তবে সেটা নিখোঁজ ইস্যু নিয়ে নয়। রাজ্যের একগুচ্ছ সাংসদের ফোন নম্বর সহ আচমকাই সোশ্যালে পোস্টার বের হয়। সেখানে বলা থাকে, কোভিডের চিকিৎসায় কোনও সাহায্য লাগলে অবিলম্বে এদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সেবার সেই তালিকা ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ভোটের মাঝে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে নিজের কেন্দ্রের ভোটে উপস্থিত থাকতে পারেননি  ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক  শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তবে তারপরে গঙ্গায় বয়ে গিয়েছে অনেক জল। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এসেছেন তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিকে আগে দেওয়া শ্রীরূপা মিত্রের প্রতিশ্রুতি ভূলতে পারেনি সাধারণ মানুষ। তারই ঝাল মেটাচ্ছে হাস্যকৌতুক আকারে লেখা ছবি পোস্ট করে বলে গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।