সংক্ষিপ্ত
অর্জুন সিং-এর কথায়, এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন, তাঁর ছেলে বিজেপি বিধায়ক পবন সিং। সেই সময়ই তাকে তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ করেছিল।
নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীতে (Netaji Jayanti) আবারও উত্তাল হতে দেখা যায় ভাটপাড়া (Bhatpara) । সেই মর্মেই এবার অভিযোগ দায়ের করা হল রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) পক্ষ থেকে বিজেপি নেতা (BJP MP) অর্জুন সিং-এর নামে। মোট ছ দফায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই নিয়ে তদন্তে বর্তমানে পুলিশ (Bengal Police) । তবে অর্জুন সিং-এর কথায়, এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন, তাঁর ছেলে বিজেপি বিধায়ক পবন সিং। সেই সময়ই তাকে তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ করেছিল। পবন সিং-কে লক্ষ্য করে গুলি চলে, ইট ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন অর্জুন সিং। এরপর তিনি নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, তাঁকেও আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। ভাটপাড়ার বিধায়কের আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই সবকিছু ঘটে। তাঁর গাড়িও ভাঙা হয়েছে।
এই মর্মে এবার মুখ খুলে অর্জুন সিং সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানান, আমার সৌভাগ্য আমার বিরুদ্ধে পুলিশ তৃনমুল করেছে, তৃনমূলের হাতে পুলিশ আর গুন্ডা ছাড়া কিছু নেই। না আমি মেরেছি না অস্ত্র বার করেছি। পাশাপাশি সিএএ প্রসঙ্গ তুলে সেদিন তিনি জানান, সিএএ তো দরকার আছে। আমাদের পার্টি তো সেবা করতে চায়। ওরা করুক, আমাদের যদি বলে আমরাও মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করে দেবো না। সিএএ শুধু মতুয়া নয় দেশের সব বিজেপি সাংসদ সিএএ সিদ্ধান্ত করার কথা বলেছে না। পার্টির বিষয় পার্টির ভিতর বলা উচিত। যারাই দলের বিরুদ্ধে বলছে তাদের ব্যক্তিগত মতামত! দিদিমনি হঠাৎ করে নেতাজি সুভাষ বসুকে তৃনমূলে জয়েন করিয়ে নিয়েছেন বলে বিজেপির ঝান্ডা সরিয়ে তৃনমূলে ঝান্ডা লাগিয়ে দিচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত, রবিবার সকালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানে নেতাজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করতে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক পবন সিং (Paban Singh)। তাকে কিছু স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বাধা দেন বলে অভিযোগ। এই নিয়েই বচসা বেধেছিল দুই পক্ষে, যা ক্রমে হাতাহাতির আকার নেয়। ইতিমধ্য়ে সেখানে অর্জুন সিং এলে উপস্থিত হলে অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। ইট বৃষ্টি, বোমাবাজি শুরু হয়। এই সংঘর্ষের মধ্যেই সাত রাউন্ড গুলি চালায় সিআইএসএফ।
ভাটপাড়া পুরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গোপাল রাউতের (Gopal Raut) অভিযোগ, তিনিও সেখানে নেতাজীর প্রতিকৃতীতে মালা দিতেই এসেছিলেন। সেইসময়, বিজেপির কর্মীরা 'অসভ্যতা' শুরু করেছিল। তাঁর অভিযোগ এরপরই সেখানে জোর জবরদস্তি করে মালা দিতে গিয়েছিলেন অর্জুন সিং ও তাঁর ছেলে পবন সিং। এর প্রতিবাদ করেন স্থানীয় মানুষ। তখনই বিজেপির কর্মীরা তাদের উপর চড়াও হয়। আর তা থেকেই দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেধেছিল। এমনকী, অর্জুন সিংয়ের দেহরক্ষী হিসাবে নিযুক্ত এক সিআইএসএফ কর্মী তাঁকে লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন গোপাল রাউত।