সংক্ষিপ্ত
শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন অর্জুন সিং। পীযূষ গোয়েলের দিল্লির বাড়িতেই নৈশভোজ সারেন অর্জুন। পাট শিল্প বাঁচানো নিয়ে তাঁর যাবতীয় আবেদন রাখেন বস্ত্রমন্ত্রীর কাছে।
কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের পাটশিল্প নিয়ে 'বেসুরো' মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, এই শিল্পকে বাঁচানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশেও চান। তার জন্য মমতাকে তিনি চিঠিও লিখেছিলেন। তারপরই তড়িঘড়ি তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। সেই মতো শনিবারই দিল্লিতে উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রীর সঙ্গে হাসিমুখে ছবি পোস্ট করেন টুইটারে। আর এই ছবি দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, তাহলে অবশেষে মান ভাঙল অর্জুনের।
বিজেপি সাংসদের টুইটার পোস্ট দেখে স্পষ্ট যে তাঁর ক্ষোভে একটু হলেও প্রলেপ লেগেছে। শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন অর্জুন সিং। পীযূষ গোয়েলের দিল্লির বাড়িতেই নৈশভোজ সারেন অর্জুন। পাট শিল্প বাঁচানো নিয়ে তাঁর যাবতীয় আবেদন রাখেন বস্ত্রমন্ত্রীর কাছে। এরপর বৈঠক শেষে বস্ত্রমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে ছবি তোলেন অর্জুন। পাশাপাশি হাসিমুখে দাঁড়িয়ে ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
পীযূষের বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়েই ছবিটি পোস্ট করেন অর্জুন। সেখানে তিনি লেখেন, "আমার অনুরোধে বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল তাঁর বাড়িতে বৈঠকের জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পাট চাষী, কর্মী ও শিল্প নিয়ে বৈঠক হয়েছে। একাধিক বিষয় উঠে এসেছে এই বৈঠকে। বৈঠক খুবই ইতিবাচক হয়েছে। আশাকরি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।"
পাট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভ্রান্ত’ নীতির কারণেই গোটা একটি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে দিন কয়েক ধরেই সরব হয়েছিলেন অর্জুন। পাট শিল্পকে বাঁচাতে এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এরপর এই আন্দোলনে মমতাকে পাশে চেয়েছিলেন তিনি। তার জন্য মমতাকে তিনি চিঠিও দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিজেপিতে গণইস্তফা, তথাগত-অনুপমের কথাই কি সত্যি হল এবার
এদিকে অর্জুনের এই পদক্ষেপে রীতিমতো 'অস্বস্তি'-তে পড়ে যায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তার সঙ্গে অর্জুনের দলবদলের জল্পনাও আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় দিল্লিতে। আর সেই বৈঠকে যোগ দিতেই গতকাল রাজধানীতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। আর সেখানেই বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বৈঠক শেষে ছবি পোস্ট করে জানিয়ে দেন যে বৈঠক 'ফলপ্রসূ' হয়েছে।