সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার নববর্ষের প্রথম দিনেই হাঁসখালি রওনা দিয়েছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। হাঁসখালি থেকে ফিরে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে গণধর্ষণ ও খুনের রিপোর্ট দেবেন এই কমিটি।
শুক্রবার নববর্ষের প্রথম দিনেই হাঁসখালি রওনা দিয়েছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে নিজেদের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। এই কমিটিতে চার জন সদস্য রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের ধৌরহারা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রেখা ভার্মা, তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্ব ভারতীয় সভানেত্রী বনতি শ্রীনিবাসন, বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর এবং মালদহ ইংরেজ বাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরি। হাঁসখালি থেকে ফিরে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে গণধর্ষণ ও খুনের রিপোর্ট দেবেন এই কমিটি।
হাঁসখালি যাওয়ার কারণ নিয়ে বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে হবে। তারপর সেই রিপোর্ট জেপি নাড্ডার কাছে জমা দেব। নদিয়া হাঁশখালি ধর্ষণকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কোথায় কোথায় যায়, সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। তবে হাঁসখালিতে গিয়ে কী করবেন তাঁরা, এই বিষয়ে জানা গিয়েছে, এই প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলবেন এদিন তাঁরা। এদিন হাঁসখালি রওনা দেবার আগে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য ও উত্তর প্রদেশের সংসদ রেখা ভার্মা। তার অভিযোগ এই ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি মুুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য
ইতিমধ্যেই হাঁসখালিকাণ্ডে অভিযুক্তের বাড়ির দরজার ভেঙে নমুনা সংগ্রহ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। হাঁসখালি গ্রামের বাসিন্দারা, সিবিআই অফিসারদের দেখতে পেয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারের সামনেই ভেঙে পড়েন তাঁদের এক প্রতিবেশি মহিলা। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালি এবং সমরেন্দ্র গয়ালির ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না তার কেউ, বলে অভিযোগ করেন তিনি। ডিআইজি অখিলেশের সামনে তিনি হাতজোড় করে বলেন, আমাদের ছেলেরা ঘর থেকে রাতে বের হতে পারে না। আমরা শান্তিতে বাঁচতে চাই। থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে অভিযোগ নেয় না বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন, মাঝদুপুরে মটনকষা বা ইচ্ছে হলেই ইলিশ খান পাত পেড়ে, পয়লাবৈশাখে ডেলিভারি দেবে রাজ্য
প্রসঙ্গত, শুধু হাঁসখালি তদন্তেই নয়, বগটুই হত্যাকাণ্ডেও কাজ করছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। বিজেপির জমা দেওয়া ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের নাম। এর পরেই বিজেপির রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তদন্ত চলাকালীনই বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বিজেপির প্রতিনিধি দলের এই রিপোর্ট বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তকে প্রভাবিত করবে বলেই আশঙ্কা মমতার। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, ' বিজেপি নিজস্ব রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এই রিপোর্ট প্রতিহিংসামূলক। রামপুরহাট বগটুই হত্যাকাণ্ডে এই রিপোর্ট সিবিআই-র তদন্তকে আরও দুর্বল করে তুলবে। বিজেপির আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি ওদের রিপোর্ট দেখেছি। আমি ওদের রিপোর্ট দেখেছি। ওরা কোনও তদন্ত ছাড়াই কীভাবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের নাম বলল' প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। '