সংক্ষিপ্ত
দুদিনের সফরে শনিবার বীরভূমে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার বিডিও এবং পুলিশকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন।
আশিস মণ্ডল, সিউড়ি- 'দলবদল এখন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধায়করা তো আর গরু-ছাগল নয় যে ধরে রাখবো। টিএমসি পেরেছিল? এত টাকা পয়সা দিয়ে সিন্ডিকেট করে ধরে রাখতে পারেনি। ডজন ডজন লোক পালিয়ে গিয়েছে”। এই ভাষাতেই দলত্যাগী বিধায়কদের (defecting MLAs) আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP state president) দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
দুদিনের সফরে শনিবার বীরভূমে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার সিউরিতে কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি এদিন বিডিও এবং পুলিশকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন।
সিউড়িতে এদিন দিলীপ ঘোষ দলবদল প্রসঙ্গে বলেন, "তিন চারজন ছিলেন, আছেন যারা কখনো পার্টির সঙ্গে আসেনি। অন্য সংগঠনের লোক নিয়ে আমরা ক্যান্ডিডেট করেছিলাম। পার্টিতে প্রথম থেকেই এতে বিরোধ ছিল। কিন্তু আমরা তাদের জায়গা দিয়েছি, তারা জিতে এসেছেন জনগণের ভোটে। পার্টি তাদের সম্মানের সঙ্গে জায়গা দিয়েছে। কিন্তু তাদের কোনো না কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা আছে। তাদের বিভিন্ন ব্যবসা ইত্যাদির জন্য তাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে।
এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন এই নেতাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কাউকে লোভ দেখানো হয়েছে এই দেব, সেই দেবো বলে। তাই যারা এগুলো হজম করতে পারছে না তারা চলে যাচ্ছে একদুজন জন। তাই দলবদল করেছে। মুকুল রায় যদি যেতে পারেন তাহলে যে কেউ যেতে পারেন। যেদিকে পাল্লা ভারী সেদিকে ঢলবেই। সাধারণ লোক এদের শিক্ষা দিক। যেন জিততে না পারে তাহলেই হয়ে যাবে।
এর পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ উঠলে দিলীপ ঘোষ জানান, "বিজেপিতে এলেই নানান ধরনের কেস হবে মামলা হবে। মুকুলবাবুও যখন ছিলেন তখন হয়েছে। তারপর যেদিন থেকে হাত মিলিয়ে নিলেন আর হয়নি।"
কর্মী সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, “যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন কেউ ছাড় পাবেন না। তিনি প্রধান হন আর বিডিও। আমি বিষয়টি দিল্লিতে গিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন। গরিব মানুষের টাকা যারা মেরে খেয়েছেন তাদের ছাড়া হবে না”।