সংক্ষিপ্ত
সোমবার নতুন রাজ্য় কমিটি ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবন বৈঠক করেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় ৩৫ বছরের বেশী কাউকে দলে রাখা যাবে না।
গেরুয়া শিবিরে(BJP) এবার ইয়ং জেনারশনকে আহ্বান জানানোর নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার নতুন রাজ্য় কমিটি ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবন বৈঠক করেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবার থেকে নির্দিষ্ট বয়সের উর্ধ্বে(Age Limit) কাউকে দলে নেওয়া হবে না। বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৩৫ বছর(Age Limit 35) পর্যন্ত। বিজেপির যুব মোর্চা নেতার নতুন রাজ্য সভাপতি হয়েছেন ইন্দ্রনীল খাঁ। তাঁর বয়স ৩২। আগামী দিনে তিনি যে কমিটি তৈরি করবেন সেখানে ৩৫ বছরের বেশী কাউকে দলে রাখতে পারবেন না। বিজেপি সুত্রের খবর, এই বৈঠকে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা বিএল সন্তোষ(BL Santosh) নিজেই জানিয়েছেন কোন কমিটিতে কত বছর বয়সীদের রাখা যাবে।
বয়সের বিষয়ে সবচেয়ে কড়া নিয়েম যুব শাখায়। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা বিএল সন্তোষের নির্দেশ অনুযায়ী, যুব মোর্চা নেতাদের বয়স হতে হবে ৩২ বছরের মধ্যে। আর মন্ডল স্তরের কমিটি গঠনের জন্য বয়স হতে হবে ৩০ বছরের নীচে। শুধু মোর্চার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর হয়নি। বয়সের কড়াকড়ি রয়েছে মূল বিজেপি দলেও। ইতিমধ্যেই ৪২ জন বিজেপি সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে আগামী ৯ জানুয়ারির আগে জেলা কমিটি তৈরি হয়ে যায়। আর গোটা জানুয়ারি মাসের মধ্যে মণ্ডল কমিটি তৈরি করে ফলতে হবে। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, কোনও মণ্ডল সভাপতির বয়স যেন ৪৫ বছরের উর্ধ্বে না হয়।
আরও পড়ুন-Modi in Mandi: বিরোধী রাজনীতির লক্ষ্য 'নিজের স্বার্থ,পরিবারের স্বার্থ'- মোদী
আরও পড়ুন-Matua Post: অল ইন্ডিয়া মতুয়া-র ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা, জানালেন কাউকে সমর্থন নয়
বিজেপির তরফে এহেন বয়সের সীমা বেঁধে দেওয়ার ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি প্রবীণরা কি এই দলে কোনও সুযোগ পাবে না। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে গিয়ে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা বিএল সন্তোষ বলেছেন, জেলা মণ্ডল বা বুথ কমিটিতে কোনও বয়সের নিষেধাজ্ঞা থাকছে নায তবে সভাপতি নির্বাটনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবারে বিজেপির বৈঠকে উপস্থিত এক শীর্ষ নেতা জানিয়ছেন, বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না হওয়ার ফলে কেন্দ্র নতুন সাজে রাজ্যকে একেবারে ঢেলে সাজাতে উদ্যেগী হয়েছে। এর ফলে মণ্ডল স্তরের নেতৃত্ব আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করছে দল। প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাজ্য় বিজেপির যে কমিটি ঘোষণা হয়েছে সেখানে কিন্তু কম বয়সীদের গুরুত্ব বেড়েছে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বয়স ৫০ ছুঁইছুঁই হলেও তাঁর কমিটির বাকি ৫ সদস্যের বয়স কিন্তু ৫০-র নীচেই। এছাড়াও কমিটির অন্যান্য পদে অনেক কম বয়সী নেতারা জায়গা পেয়েছেন। বাদ পড়েছেন বেশ কিছু প্রবীণ নেতা। রাজ্য কমিটির গড় বয়স কম রাখাই শুধু নয়, সদ্য ঘোষইত জেলা সভাপতিদের ক্ষেত্রেও কম বয়সের নেতারাই জায়গা করে নিয়েছে।