সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশ হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা
বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ল এক চিনা নাগরিক
তার কাছ থেকে মিলল প্রচুর অর্থ ও গ্যাজেট
আপাতত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে
বাংলাদেশ হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়ল এক চিনা (China) নাগরিক। বৃহস্পতিবার, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ (BSF)-এর পক্ষ থেকে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে সন্দেহজনক জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আপাতত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কী উদ্দেশ্যে সসে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে তা জানার চেষ্টা চলছে। গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া অনেক জায়গাতেই নেই। আর তারই সুযোগ নিয়েছিল ওই অনুপ্রবেশকারী চিনা নাগরিক। তবে কাঁটাতারের বেড়া না থাকলেও বিএসএফ-ের টহলদার বাহিনীর কড়া নজরদারী রয়েছে। বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মালদার কালিয়াচকের আকন্দবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত, মিলিক সুলতানপুর এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। ওই জায়গা দিয়েই এদিন ভোর ৬টা নাগাদ, ওই চিনা নাগররিক, বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, ১৫৯ এফ কয় শিবিরের বিএসএফ জওয়ানরা তাকে ধরে ফেলে এবং গ্রেফতার করে শিবিরে নিয়ে আসে।
বিএসএফ শিবিরে হান জুনয়েই
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে তার নাম, হান জুনয়েই। তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল ফোন, প্রচুর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী টাকা, মার্কিন ডলার, একটি চাইনিজ পাসপোর্ট (বাংলাদেশী ভিসা-সহ), এবং বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক গ্যাজেট পাওয়া গিয়েছে। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার উপর বর্বরোচিত আক্রমণের প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চলল। তবে কি এবার বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে গুপ্তচর পাঠাচ্ছে বেজিং? নাকি হান জুনয়েই কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত? সেইসব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজা হচ্ছে মহাদিপুরের বিএসএফ ক্যাম্পে। কালিয়াচক থানায় অবশ্য এখনও তাদের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। সম্ভবত প্রকৃত সত্য উদ্ধার করে তবেই অভিযোগ জানানো হবে।