সংক্ষিপ্ত

  •  নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে শাসক দল
  •  একেবারে তৃণমূলের মঞ্চ ভেঙে দিল প্রতিবাদকারীরা
  •  বীরভূমে উন্মত্ত জনতার আচরণ দেখে হতবাক শাসক দলের নেতারা
  •  এদিন কাঁটাগড়িয়া মোড়ে  তৃণমূলের ঘোষিত সভা ছিল  

বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ  স্বাভাবিক, এবার নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ল খোদ শাসক দল। একেবারে তৃণমূলের মঞ্চ ভেঙে দিল প্রতিবাদকারীরা। বীরভূমে উন্মত্ত জনতার আচরণ দেখে হতবাক খোদ শাসক দলের নেতারা।

বিক্ষোভ মঞ্চের সামনে টায়ার জ্বালাতেই সতর্ক করেছিল শাসক দলের লোকজন। কিন্তু কথা শোনা তো দূর, উল্টে তৃণমূলের মঞ্চই ভেঙে দেয় উত্তেজিত জনতা। এদিন কাঁটাগড়িয়া মোড়ে  তৃণমূলের ঘোষিত সভা ছিল। সভা শুরু হতেই সভামঞ্চের সামনে উন্মত্ত জনতা জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে।  এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সভা বন্ধ করে দেয়। পরে উন্মত্ত জনতা সভা মঞ্চে উঠে জেলা তৃণমূল সম্পাদককে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়। মঞ্চ ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা।

পরে নাগরিকত্ব ও এনআরসি বিলের প্রতিবাদে উত্তাল চেহারা নেয় বীরভূমের লোহাপুর স্টেশন।  এদিন বিক্ষোভকারীরা লোহাপুর রেল স্টেশনে লুঠপাট চালায় বলে অভিযোগ। সঙ্গে আগুন লাগানো হয় স্টেশন চত্বরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,রবিবার দুপুর দুটো নাগাদ কাঁটাগড়িয়া মোড়ে  টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় প্রতিবাদকারীরা। রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় নাজেহাল অবস্থা হয় সাধারণ মানুষের। 

লোহাপুর স্টেশনের বুকিং সুপারভাইজার শ্যামল সাউ বলেন, তিন দিনের ৩৫ হাজার টাকা নগদ লুঠ করে পালায় বিক্ষোভকারীরা। স্টেশনের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে রেলের সম্পত্তি বলে আর কিছু বাকি নেই। তবে শুধু স্টেশন নয় রেল লাইনেও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ইতিমধ্য়েই রেল কর্তৃপক্ষের কাছে সব ঘটনা জানানো হয়েছে। যার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।  এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের ঘোষিত সভা ছিল কাঁটাগড়িয়া মোড়ে। তার আগে জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে কেউ কেউ। সেখানে কিছু বহিরাগত লোক ঢুকে পড়ে। যার জেরে ওই রকম একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে তেমন কিছু ঘটে নি।  

পূর্ব রেলওয়ে জন সংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তীকে এ বিষয়ে ফোন করা হলে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন,  তৃণমূলের মিছিল থেকে উন্মত্ত জনতা মিছিল করে এগোতে থাকে। তারা কোটাসুর বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙচুর চালায়। অন্যদিকে, জেলা জুড়ে তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ মিছিল চলে। রামপুরহাট, বোলপুর, সিউড়ি, নলহাটি সর্বত্র শাসকদল এন আর সি ও ক্যাবের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে।