সংক্ষিপ্ত

  • বনগাঁ পুরসভায় নতুন করে আস্থা ভোটের নির্দেশ 
  • নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
  • গত ১৬ জুলাইয়ের আস্থা ভোট বাতিল
  • আস্থা ভোটে জিতে পুরবোর্ড দখল করেছিল তৃণমূল
     


বনগাঁ পুরসভায় নতুন করে আনতে হবে অনাস্থা প্রস্তাব। গত ১৬ জুলাই হওয়া আস্থা ভোটকে খারিজ করে দিয়ে নতুন ভাবে ভোট করানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।  

বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এ দিন নির্দেশ দিয়েছেন, নতুন করে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হবে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।  ১২ দিনের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অনাস্থা প্রস্তাব আনা থেকে ভোট-পর্ব না মেটা পর্যন্ত ওই পুরসভার সব কাউন্সিলরদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে উত্তর ২৪ পরগণার পুলিশ সুপারকে। জেলাশাসকের পর্যবেক্ষণে হবে নতুন আস্থা ভোট। 

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগে বনগাঁ পুরসভার দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখভাল করবেন মহকুমাশাসক অথবা পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার। 

গত ১৬ জুলাই বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোটকে ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। বিজেপি কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন, তাঁদের অনেককেই আস্থা ভোটে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।  এর পরেই তৃণমূল ওই বোর্ডে দখল করেছে বলে দাবি করে। কিন্তু বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এ দিন আগের আস্থা ভোটের প্রক্রিয়াই খারিজ করে দিয়েছেন। 

দীপ্তেন্দু বিকাশ বৈরাগী- সহ ৩ জন বিজেপি কাউন্সিলর প্রথম বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা ভোটের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। তাদের বক্তব্য ছিল, পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য চিঠি দিলেও তা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তখন বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, মামলাকারীদেরকেই অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোট হলেও সেদিন বিজেপি কাউন্সিলরদের পুরসভায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই সুযোগে তৃণমূল কাউন্সিলররা দাবি করে তারা বোর্ড গড়েছেন। ওই আস্থা ভোটের বিরোধিতা করে ফের বিজেপির কাউন্সিলররা হাইকোর্টে আসেন। এ দিন সেই মামলারই রায় দেয় আদালত।