সংক্ষিপ্ত
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর শ্যামনগরের রাউতা বিআরএক কলোনির বাসিন্দা শোভারানি মণ্ডলের মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এরপর তদন্তের জন্য শোভারানির বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তের পর এই ঘটনায় মোট আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) খবর পাওয়া যাচ্ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপি কর্মীদের (BJP Worker) উপর হামলার অভিযোগ উঠছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের (TMC Worker) বিরুদ্ধে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর শ্যামনগরের রাউতা বিআরএক কলোনির বাসিন্দা শোভারানি মণ্ডলের মৃত্যুতে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এরপর তদন্তের জন্য শোভারানির বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তের পর এই ঘটনায় মোট আট জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার জগদ্দল বিধানসভার বিজেপি বুথ সভাপতি কমল মণ্ডলের মা শোভারানি মণ্ডলকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এই ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্য়ে তিনজন মহিলা রয়েছেন।
সিবিআই সূত্রে খবর এই আট জনকে মঙ্গলবার সিবিআইয়ের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। বুধবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার কথা জানাতেই তাঁদের ওই নোটিশ পাঠানো হয়। সেই মতো তাঁরা বুধবার সকালে সিবিআই দফতরে যান। তারপর তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁদের কথার মধ্যে একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছিলেন আধিকারিকরা। তারপরই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁদেরকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন- প্রথা মেনে সাঁকরাইলের পাল বাড়িতে অষ্টমীর বিকেলে হল সিঁদুর খেলা
একুশের বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর শোভারানির উপর তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন মা শোভারানি। বাঁশ দিয়ে মেরে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত করেছিল পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। সেই মতো তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এরপর ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তের নেমে কিছুদিন আগে শোভারানি মণ্ডলের বাড়িতে যায় সিবিআই। প্রায় তিন ঘণ্টা শ্যামনগর রাউতা বিআরএস কলোনিতে ছিলেন তদন্তকারীরা। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ আরও একবার খতিয়ে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি মণ্ডল পরিবারের যাঁরা সিবিআই আফিসে যেতে পারেননি, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবশেষে এই মামলায় আটজনকে গ্রেফতার করল তদন্তকারীরা।