সংক্ষিপ্ত
সিবিআইয়ের দাবি, এর আগে দু'বার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাই চতুর্থবার তাঁকে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই নোটিসের পর হাজিরা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) ফের অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) তলব করল সিবিআই (CBI)। ১৪ মার্চ নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) তাঁকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকাল ১১টার সময় তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। আর এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত গরু পাচারকাণ্ডে তাঁকে মোট চারবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু, একবারও হাজিরা দেননি তিনি। প্রতিবারই কখনও শারীরিক অসুস্থতা আবার কখনও নির্বাচনী ব্যস্ততার কথা জানিয়ে তলব এড়িয়ে যান। শেষবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। তখনও শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সিবিআইয়ের দাবি, এর আগে দু'বার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাই চতুর্থবার তাঁকে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই নোটিসের পর হাজিরা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনই উত্তাল বিধানসভা, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিজেপির
এর আগে একাধিকবার গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সেদিনও হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। তারপর ২৫ ফেব্রুয়ারি ফের তাঁকে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়। তখনই শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ২৫ ফেব্রুয়ারি অবশ্য অনুব্রত মণ্ডলের তরফে আইনজীবী আদালতের দ্বারস্থ হন। অনুব্রতর তরফ থেকে জানানো হয়, তিনি হাজিরা এড়াতে চান না। তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন, গরু পাচার মামলায় তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। কিন্তু কলকাতায় সিবিআই দফতরে (CBI Office in Kolkata) গিয়ে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, শারীরিক অসুস্থতার জন্য। বোলপুরে (Bolpur) বাড়ির কাছাকাছি কিংবা কাছাকাছি কোথাও ডাকা হোক তাঁকে। এই মর্মে আইনজীবী মারফৎ চিঠিও পাঠিয়েছিলেন কেষ্ট। কিন্তু, সেই চিঠির তোয়াক্কা না করেই ফের তাঁকে তলব করে সিবিআই।
আরও পড়ুন- আজ বাজেট অধিবেশন, বহু বিতর্কের পর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল
কয়লার (Coal Smuggling Case) পর এবার গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে সক্রিয় সিবিআই। ১৫ ফেব্রুয়ারি, দেবকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামূল হকের এক কর্মী কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে এবং কার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, তা একটি ডায়েরিতে লিখে রাখতেন। সিবিআই সূত্রে দাবি, সেখান থেকেই প্রথম দেবের নাম উঠে আসে। এরপর, সিবিআই-এর আধিকারিকরা একাধিক সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করেন। তদন্তকারীদের আরও দাবি, একাধিক সাক্ষীর বয়ানে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদের নাম বারবার উঠে এসেছে। তারপরই দেবকে তলব করেছিল সিবিআই। আর এই মামলায় অনুব্রতকেও একাধিকবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, এবার যদি তিনি হাজিরা না দেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।