সংক্ষিপ্ত
- চোপড়া ছাত্রী মৃত্যুকাণ্ডে নয়া মোড়
- গ্রেফতার মৃত কিশোরীর বাবা ও দুই দাদা
- তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু
- রাজনৈতিক চক্রান্ত, দাবি বিজেপির
কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ: ঘটনার মোড় কী অন্যদিকে ঘোরার চেষ্টা হচ্ছে? চোপড়া ছাত্রী মৃত্যকাণ্ডে এবার মৃত কিশোরীর বাবা ও দুই দাদাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুধু তাই নয়, ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খোদ ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার শচীন মক্কর। এদিকে এই গ্রেফতারির পিছনের রাজনৈতিক কারণ আছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি।
আরও পড়ুন: বিয়েবাড়ি থেকে ছড়িয়েছে করোনা, পুরুলিয়ায় সাতদিন লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
রবিবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরে চোপড়ার বসলামপুরে গ্রাম উদ্ধার হয় এক কিশোরীর দেহ। এবছরই মাধ্যমিক পাস করেছিল সে। বেলা গড়াতেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শনিবার রাতে ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। রাতভর তাঁর উপর নারকীয় অত্যাচার চলে। শেষপর্যন্ত নির্যাতিতাকে খুন করে দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তের। ঘটনার প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন কয়েকশো মানুষ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একাধিক সরকারি বাস ও পুলিশের জিপও।
আরও পড়ুন: উল্টো যাওয়া নৌকায় ভেসে থাকলেন নদীতে, অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার সাত যাত্রী
এদিকে এই ঘটনায় ফিরোজ আলি নামে এলাকারই এক কিশোরের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে মৃতার পরিবারের লোকেরা। কিশোরীটির দেহ যে জায়গায় পাওয়া গিয়েছিল, তার অদূরে একটি পুকুরে সোমবার ভেসে ওঠে ফিরোজের দেহ! মৃতের পরিবারে তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার দিন বিকেলে চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়, গ্রেফতার করা হয় মৃত কিশোরীর বাবা ও দুই দাদাকে। ধৃতদের দশদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।