সংক্ষিপ্ত
- করোনার আঁতুড়ঘর বিয়েবাড়ি
- আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী
- পুরুলিয়ায় কন্টেনমেন্টন জোনে লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
- লকডাউন বহাল থাকবে সাতদিন
বিয়েবাড়ি থেকে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ। সোমবার জেলায় করোনা পজিটিভি রিপোর্ট এসেছে ২২ জনের। বুধবার থেকে আগামী এক সপ্তাহের জন্য আংশিক লকডাউন শুরু হতে চলেছে পুরুলিয়া শহরের ৩ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। সাতদিন লকডাউন জারি থাকবে শুধুমাত্র কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে।
আরও পড়ুন: 'রবীন্দ্র-নজরুলকে আমরা নতুন করে তুললাম', বিজেপি-র বিরুদ্ধে সংস্কৃতি নষ্টের অভিযোগ মমতার
মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত যখন রাজ্যের সর্বত্রই ছড়াচ্ছিল করোনা সংক্রমণ, তখনও কিন্তু পুরুলিয়া শহরে একজন আক্রান্তের হদিশ পাওয়া যায়নি। শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডে এক ব্যক্তির সংক্রমণ ধরা পড়ে জুন মাসের শেষের দিকে। এরপর জুলাই মাসে দেশবন্ধু রোডের একটি হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু নিয়য়মাফিক পঞ্চাশ জন নন, ব্যবসায়ী পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন একশোরও বেশি মানুষ। স্থানীয় সূত্রে খবর তেমনই। ফলে যা হওয়ার, তাই হয়েছে।
পুরুলিয়া শহরের যে চারতারা হোটেলের বিয়ে বাড়ি থেকে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। দেশবন্ধু রোডের ওই চার তারা হোটেল ঘেঁষে রয়েছে একাধিক শপিংমল। এর ফলে আতঙ্ক রয়েছে দেশবন্ধু রোড এলাকায়। সোমবার থেকেই ওই চার তারা হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। নতুন করে ২২ জন আক্রান্তের মধ্যে পুরুলিয়া মফস্বল থানার ছড়রার রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর ১১ নাম্বার ব্যাটেলিয়নের নজন রয়েছেন । পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই ৯ জন জওয়ান পশ্চিম মেদিনীপুরের সালুয়া ই এফ আর ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছড়রায় আসেন। ওইখান থেকেই এই জওয়ানদের সংক্রমণ হয়েছে বলে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের অনুমান । আক্রান্ত জওয়ানদের সোমবার রাতেই রঘুনাথপুরের সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেও করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ, দিল্লির সঙ্গে তুলনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
জানা গিয়েছে, ওই বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানের পর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দু'জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে পুরুলিয়া শহরে। তারা আবার বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, শহরের প্রাণকেন্দ্র ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, সদর পাড়া, পোস্ট অফিস মোড়, আমলা পাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়েছে সংক্রমণ। জেলা প্রশাসনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, বাড়ি-সহ যেকোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিতদের তালিকা আগে জমা দিতে হবে। তারপরেই মিলবে অনুমতি। কিন্তু শহরের অভিজাত এলাকা ব্যবসায়ী পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে এত লোকের জমায়েত কেন নজরে পড়ল না প্রশাসনের? উঠেছে প্রশ্ন।