সংক্ষিপ্ত
- নদিয়ার চৌমুহা গ্রামে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তাপস পাল
- গ্রামবাসীদের হমকি দিয়ে সমালোচিত হন এলাকার সাংসদ
- তাপস পালের মৃত্যু সংবাদে সেই গ্রামেও শোকের ছায়া
এলাকার সাংসদের হুমকিতে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্ত সেই তাপস পাল যে অকালে চলে যাবেন, তা ভাবতেও পারছেন না নদিয়ার নাকাশিপাড়ার চৌমুহা গ্রামের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে তাপস পালের মৃত্যুসংবাদ এসে পৌঁছতেই তাই শোকের ছায়া ২০১৪ সালে সংবাদ শিরোণামে চলে আসা এই গ্রামের।
২০০৯ সালে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন তাপস পাল। এর পর ফের ২০১৪ সালে ওই কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। কিন্তু ভোটে জেতার পরেই বিতর্কে জড়ান তাপস। চৌমুহা গ্রামের একটি পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চরম অশালীন মন্তব্য করে ফেলেন তিনি। যার গোটা দেশের সংবাদমাধ্যমে সমালোচিত হয়। যার জেরে দলের মধ্যেই চাপে পড়ে যান অভিনেতা- সাংসদ। পরে ক্ষমাও চাইতে হয় তাঁকে। স্থানীয় সাংসদের এই মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি চৌমুহা গ্রামের মানুষও। এর পর ২০১৬ সালে রোজভ্যালি কাণ্ডে গ্রেফতার হতে হয় তাপস পালকে। তার পর প্রায় তেরো মাস জেলবন্দি ছিলেন তিনি। জামিন পাওয়ার পরে আর সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে পারেননি তাপস। ফলে চৌমুহা গ্রামেও আর পা পড়েনি তাঁর।
আরও পড়ুন- কান্নায় ভেঙে পড়লেন দেবশ্রী, তাপসের মৃত্যু সংবাদ বিশ্বাস হচ্ছে না অভিনেত্রীর
আরও পড়ুন- 'স্তম্ভিত এবং শোকাহত', শোকবার্তায় তাপসকে তৃণমূল পরিবারের সদস্য বললেন মমতা
এর পর নতুন সাংসদ পেয়েছে চৌমুহা। ছ' বছর আগের সেই বিতর্কতি মন্তব্যের জন্য তাপসের প্রতি আজ আর বিরূপ মনোভাব নেই চৌমুহার অধিকাংশ বাসিন্দাদের। বিশেষত জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর অসুস্থ তাপস পালের ছবি সংবাদমাধ্যমে দেখার পর তার প্রতি আর কোনও বিদ্বেষ রাখেনি চৌমুহা। বরং গ্রামবাসীরা চেয়েছিলেন, তাঁদের এলাকার প্রাক্তন সাংসদ যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাছাড়া রাজনীতিকের থেকেও বেশি করে অভিনেতা তাপস পালের ভক্ত সংখ্যা বেশি চৌমুহায়। এ দিন সকালের দুঃসংবাদটা তাই মেনে নিতে পারছেন না চৌমুহার বাসিন্দারাও। গ্রামবাসীরা বলছেন, এলাকার সাংসদের এমন পরিণতি চাননি তাঁরা।
কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল তাপস পালের মৃত্যুতে শোকাহত চৌগ্রাম গ্রামের মানুষও ।2009 সালে প্রথম কৃষ্ণনগরের সাংসদ হন ,এরপর 2014 সালে দ্বিতীয়বারের জন্য সাংসদ হিসাবে জয়ী হন অভিনেতা সাংসদ তাপস পাল ।চলচ্চিত্র জগতে তার যেরকম প্রসার বা প্রতিপত্তি বিস্তার করে ঠিক একই রকম ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য এবং খুব জনপ্রিয় সাংসদ হিসেবে প্রথম পাঁচ বছর কাজ করলেও দ্বিতীয়বার তার রাজনৈতিক কুথার ভুলে বিভিন্ন রকম ভাবে বিতর্কিত ও সমালোচিত হতে থাকেন সাংসদ তাপস পাল। নদীয়ার নাকাশিপাড়া থানায় চৌমুহা গ্রামে 2014 সালে কুকথা কথা বলায় জেলা নয় রাজ্য নয় দেশ জুড়ে সমালোচিত হয়েছিলেন ।তার পাশাপাশি বহু নিন্দার ঝড় আছড়ে পড়ে তার গায়ে।তবে মঙ্গলবার নাকাশীপাড়া থানা এলাকার সেই বিতর্কিত চৌমূহ গ্রামে প্রাক্তন সাংসদ তাপস পালের মৃত্যুর খবর পৌছতেই শোকাহত গ্রামের মানুষ। কিন্তু আজ তারা বলছেন এই চরম পরিণীতি তার জীবনে ঘটুক এটা আমরা কখনোই চাইনি।